1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

অভিযানের প্রথম দিন : কামারখালের অবৈধ ৮৪ স্থাপনা উচ্ছেদ

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৫ খাল উদ্ধারে হাইকোর্ট থেকে জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রসহ ১৪জনকে নোটিশ দেওয়ার পর প্রশাসন সুনামগঞ্জে খাল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। শনিবার সকাল থেকে পৌর শহরের কামারখাল দখল করে গড়ে ওঠা ৮৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে অভিযান শুরুহয়। পর্যায়ক্রমে সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া, বড়পাড়া, বলাইখালী ও নলুয়াখালী খাল উদ্ধারেও অভিযান শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এদিকে শুধু খাল উদ্ধারই নয় খাল উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে সংরক্ষণের আদেশও রয়েছে আদালতের আদেশে। তবে সংরক্ষণ বিষয়ে এখনো কোন পরিকল্পনার কথা জানা যায়নি।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া, বড়পাড়া, কামারখাল, বলাইখালী ও নলুয়াখালী খালের দখলদারের তালিকা প্রকাশ ও খাল উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে সংরক্ষণের নির্দেশ দেন আদালত। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষ থেকে জনস্বার্থে করা একটি মামলার (মামলা নম্বর-১০৮১/২০২৩) প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১২ ফেব্রুয়ারি এ আদেশ দেন। ১৪ জনকে পাঠানো আদালতের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে ছয় মাসের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা মেনে খাল উদ্ধার, সংরক্ষণ ও দখলদারদের তালিকা না করে সুনামগঞ্জ পৌরসভা খালের উপর ড্রেন নির্মাণ করায় এটিকে আদালত অবমাননার শামিল আখ্যায়িত করে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) গত ২০ জুন বিবাদীদের নোটিশ পাঠায়। বেলার মামলা ও পরবর্তী নোটিশে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর বিভাগ-১) নির্বাহী প্রকৌশলী, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিবাদী ছিলেন।
জানা গেছে, আদালত অবমাননার নোটিশের পরেই প্রশাসন খাল উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। শনিবার সকাল থেকে কামারখালের ৮৪ দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মকসুদ চৌধুরী, পৌর মেয়র নাদের বখত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিজন সিংহসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিপুল পুলিশ নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে নামেন। প্রথমে আরপিননগর, উত্তর আরপিন নগর ও জামাইপাড়া এলাকার অন্তত ৫০টি স্থাপনা অপসারণ করা হয়। বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন বোলডোজার দিয়ে এবং কোনও কোনও স্থানে দখলবাজ ব্যক্তিরা নিজেই স্থাপনা ভাঙ্গার কাজ শুরু করেন।
আরপিননগর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আনোয়ার পারভেজ বলেন, এর আগেও তিনবার খালটিতে উচ্ছেদ চালানো হয়েছিল। কিন্তু সংরক্ষণ বা সীমানা নির্ধারণ না করায় আবারও দখল হয়। এভাবে বারবার নাটক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু দায়সারা উচ্ছেদ অভিযানই নয় আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সীমানা নির্ধারণ করে সংরক্ষণ করা হলেই খাল উদ্ধার কার্যক্রম ফলপ্রসূ হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ (বেলা) সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা বলেন, শুধু আদালত অবমাননা থেকে বাঁচার জন্য খাল উদ্ধার কার্যক্রম কোন উপকার বয়ে আনবেনা। যতক্ষণ না আদালতের অন্যান্য নির্দেশনা মানা না হবে। আদালত স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন ৫টি খালের বিদ্যমান দখলদারের পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত করে উচ্ছেদ ও প্রকৃত প্রবাহ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে সংরক্ষণের। এগুলো বাস্তবায়ন হলেই আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হবে। নাহলে আদালতের অবমাননা হবে। আমরাও জেলা প্রশাসন ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার এ সংক্রান্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল শহরের ৫টি খাল উদ্ধার করার। এ ব্যাপারে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনাও রয়েছে। আজ থেকে কামারখাল এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলো। যতোদিন পর্যন্ত খাল উদ্ধার হবে না ততোদিন পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলবে।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মকসুদ চৌধুরী বলেন, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথমে আমরা উচ্ছেদ শুরু করেছি। পরে সীমানা নির্ধারণ করে সংরক্ষণে উদ্যোগ নেব। তবে পর্যায়ক্রমে এগুলো আমরা বাস্তবায়ন করবো।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com