স্টাফ রিপোর্টার ::
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও সুনামগঞ্জ ছাড়া দেশের সব জেলায়ই ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। তবে ডেঙ্গু নিয়ে সুনামগঞ্জ সতর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে খোলা হয়েছে ডেঙ্গু কর্নার।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ৬০ শতাংশই ঢাকার। আর বাকি রোগী সারাদেশে বিভিন্ন সিটি, মহানগর ও পৌরসভায় শনাক্ত হয়েছে। ডেঙ্গু প্রকোপ এলাকার মধ্যে সিলেট মহানগরও রয়েছে। প্রতিদিন সেখানে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত বুধবার (১২ জুলাই) সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, সিলেট বিভাগে ইতোমধ্যে ১০৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সিলেটে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীরই ট্রাভেল হিস্ট্রি না থাকায় তারা স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। ডেঙ্গুর কমিউনিটি ট্রান্সমিশনকে ঠেকাতে কাজ করছে সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে সুনামগঞ্জ জেলার কোথাও এখনো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত না হলেও জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। রাজধানী ভ্রমণে সতর্ক থাকার পাশাপাশি জ্বরে সংক্রমিত হয়ে আসলে সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরার্মশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বিগত সময়ে মাঝেমধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলেও চলতি সপ্তাহে এই ধরনের কোনো রোগী এখনো শনাক্ত হয়নি। তবে সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে একটি ডেঙ্গু কর্নার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডেঙ্গুর কোনো লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রফিকুল ইসলাম।
ডেঙ্গু রোধে জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু এডিশ মশার লার্ভা থেকে জন্মে। বাসা বাড়ির ছাদ, বারান্দায় থাকা ফুলের টব, গামলা, রাস্তার নারিকেলের খোসা, গাড়ির টায়ারসহ অন্যান্য পাত্রে জমে থাকা পরিষ্কার পানি বেশিদিন থাকলে সেখানে এডিশ মশার লার্ভা জন্মে। এক্ষেত্রে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনোভাবেই যাতে একদিনের বেশি পানি জমে না থাকে। তাছাড়া বাড়ির চারপাশ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
অপরদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌরসভার পক্ষ থেকে মশানিরোধক স্প্রে প্রয়োগ করার কথা জানিয়ে মেয়র নাদের বখত বলেন, আমার জানা মতে এডিশ মশা পরিষ্কার পানিতে জমে। ড্রেনের পানি ময়লা এখানে এডিশ মশা জন্মানোর সম্ভাবনা নেই। তারপরও আমরা স্প্রে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো। বাসা-বাড়িতে যাতে কোথাও পানি জমে না থাকে সেক্ষেত্রে শহরবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান তিনি।