1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বায়ুম-লীয় দূষণ বৃদ্ধির আর্থনীতিক কারণটির নিরসন চাই

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩

গত বুধবারের (৭ জুন ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদশিরোনাম ছিল, ‘গরম বাড়ছে কেন’। ‘তাপদাহে পুড়ছে দেশ’ পরিস্থিতিতে প্রশ্নটি সত্যিকার অর্থেই ভীষণ ভীষণ গুরুত্ববহ তাতে কোনও সন্দেহ নেই। পরিপ্রেক্ষিত বলছে, উত্তরটাকে কারণ আবিষ্কারে অবশ্যই ব্যর্থ হলে চলবে না।
বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্রের পরিচালকের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৪ ডিগ্রি বেড়েছে। এছাড়া স্থানীয় ও আঞ্চলিক প্রভাব রয়েছে।’ উত্তর এইটুকুই, কিন্তু মনে হচ্ছে যথেষ্ট নয়। বিদগ্ধমহলেরর ধারণা, এইভাবে খ-িত দৃষ্টিকোণ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ প্রদর্শন জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে একধরণের প্রতারণাকে আশ্রয় করে মূল কারণকে আড়াল করার প্রবণতা ভিন্ন অন্য কীছু নয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বর্তমান ভয়াবহ পরিপ্রেক্ষিতে কারণ প্রদর্শনের এইরূপ খ-িত দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করা অবশ্যই জরুরি। জানা কথা, মূল কারণ উদ্ঘাটন করা না গেলে সমস্যা নিরসন করা সম্ভব নয় এবং পৃথিবীর বিপদ-বিপন্নতা কাটবে না। উত্তরটা যে, জানা নেই বা আবিষ্কৃত হয় নি এমন নয়। বিজ্ঞানীরা উত্তর জানেন এবং বিশ্ববাসীকে তাঁদের অবস্থান থেকে করণীয় সম্পর্কে নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক অভিমত জানিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু মুনাফা শিকারী মুক্তবাজার অর্থনীতি লাভের লালসায় মত্ত হয়ে সে-নির্দেশ মানছে না, বরং প্রকৃতির ভারসাম্যবিরোধী সা¤্রাজ্যবাদী আর্থনীতিক কর্মপ্রয়োগ বিশ্বজুড়ে অব্যাহত রেখেছে। প্রমাণ দিতে বললে যে-কেউ ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ন্যাটো রাশিয়ার ছায়াযুদ্ধর প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করতে পারেন।
মানুষ ও প্রকৃতি বিনাশের সঙ্গে সেখানে বায়ুম-লীয় দূষণ হচ্ছে ভয়াবহ আকারে বেশি। বিদগ্ধ মহলের বিবেচনায় প্রকৃতি প্রকৃতির জায়গায় ঠিকই আছে। মানুষ তার নিজের স্বার্থে প্রকৃতিকে বদলে দিচ্ছে ভারসাম্যহীনতার দিকে এবং প্রকারান্তরে পৃথিবীকে ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর দিকে। এই ‘নিজের স্বার্থটা’ অবশ্যই আর্থনীতিক, যে কর্মপ্রয়োগের চালিকাশক্তি মুনাফা অর্থাৎ বিশ্বপরিসরে কতিপয় মানুষের বিপুল সম্পদসঞ্চয়। এই কারণে জলবায়ুর পরিবর্তনের মূল কারণ নির্ণয় করতে হবে বিশ্বের বর্তমান অর্থনীতির গতিপ্রকৃতির মধ্যে। মানুষের ব্যবহার্য্য যে-সব জিনিস ও কর্মপ্রয়োগ বায়ুম-লের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে সর্বাগ্রে সে-সব জিনিস উৎপাদন ও চর্চা বন্ধ করতে হবে। বিশ্বের অর্থনীতিকে করে তুলতে হবে জলবায়ুবান্ধব।
বায়ুম-লের উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখাতে হবে প্রাকৃতিক ভারসাম্যবিরোধী অর্থনীতিকে, মানুষের প্রকৃতিবিরোধী আচরণকে। মানুষ বন কেটে বসত গড়ে, পাহাড় কেটে রিসোর্ট বানায়, সড়ক করতে গাছ কাটেÑ এসব জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট করে, পরিণতিতে উষ্ণতা বাড়ায়। তাছাড়া গাড়ি, রেফ্রিজারেটর, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার, দেশে দেশে যুদ্ধÑ বোমা বিস্ফোরণ ইত্যাদি বায়ুম-লীয় দূষণ বাড়ায়। এসবের উৎপাদন ও ব্যবহার কমাতে হবে। যুদ্ধের বিপরীতে শান্তির চর্চা করতে হবে। অন্যথায় বায়ুম-লীয় দূষণ কমানোর চেষ্টা যতই চালানো হোক না কেন লবডঙ্কা ভিন্ন কাজের কাজ কীছুই হবে না। যত কীছুই বলা হোক না কেন, আসলে ও সর্বাগ্রে বায়ুম-লীয় দূষণের চিহ্নিত ও মূল কারণ বিশ্বজুড়া প্রকৃতিবিরোধী আর্থনীতিক কর্মপ্রয়োগের নিরসন চাই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com