স্টাফ রিপোর্টার ::
বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে সমাবেশ করেছে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। বৃহ¯পতিবার (৮ জুন) সকাল ১১টায় শহরের রমিজবিপণিস্থ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক নোমান বখত পলিন বলেন, বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের অবস্থান আগের চেয়ে অনেক ভালো এবং শক্তিশালী। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ও সফল সমাবেশের মাধ্যমে বারবার এটি প্রমাণিত। করোনা, বন্যাসহ যে কোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় পাশে থেকেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সুনামগঞ্জে বার বার এসেছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে সুনামগঞ্জে এক জনসভায় বলেছিলেন, আমি গোপালগঞ্জ ও সুনামগঞ্জকে এক দৃষ্টিতে দেখি। গোপালগঞ্জের মতো সুনামগঞ্জও উন্নত হবে। এই প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ উন্নয়নসহ সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের জেলা।
নোমান বখত পলিন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সারাদেশের উন্নয়নের সাথে যুক্ত হয়ে আমাদের জেলাও স্মার্ট সুনামগঞ্জে রূপান্তরিত হবে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে, উন্নয়নের স্বার্থে আবারও আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হবে।
নোমান বখত পলিন বলেন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯৬৬ সালে ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি ঘোষণা করলেন। তখন তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করা হলো। তিনি প্রত্যাখ্যান করে চলে আসলেন বাংলাদেশে। সেই থেকে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার শুরু। আমরা এই ষড়যন্ত্রকে ছিন্নভিন্ন করে এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, ভবিষ্যতেও আরও এগিয়ো যাবো ইনশাআল্লাহ।
বিএনপিকে ষড়যন্ত্র বাদ দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে নোমান বখত পলিন বলেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতামূলক অংশগ্রহণ করুন। জনগণ যদি ভোট দেয় আপনারা নির্বাচিত হবেন। আর যদি প্রত্যাখ্যান করে তা মেনে নিবেন।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বিমান কান্তি রায়-এর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট চাঁন মিয়া, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শংকর চন্দ্র দাস, আবুল কালাম, জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, অমল কর, মো. ফজলুল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব চৌধুরী, সহ-সভাপতি ঝন্টু তালুকদার, সাধারণ স¤পাদক জুবের আহমদ অপু, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির শান্তি মিয়া, সাধারণ স¤পাদক বিন্দু তালুকদার, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন সলুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম ছিদ্দিক তপন, পলাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ, যুবলীগ নেতা শুভ বণিক, যুব মহিলালীগ নেত্রী জান্নাত মরিয়ম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খোরশেদুল হাসান খোরশেদ, উপ-ধর্ম বিষয়ক স¤পাদক দীপ্ত দাস তন্ময় প্রমুখ।