দোয়ারাবাজার উপজেলায় টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৬ জুন ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠের এক সংবাদপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দোয়ারাবাজার উপজেলা সীমান্ত দিয়ে গরু-মহিষ পাচাররোধে রাতভর টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে ২১টি গরু, ৩টি মহিষ এবং চারজন ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটায় উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদের নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়।’
চোরাচালানরোধে সরকারের সদিচ্ছার সঙ্গে আমরা ঐকমত্য প্রকাশ করছি এবং অন্যদিকে টাস্কফোর্স অভিযানে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট যখন ‘মধ্যরাতে চোরাকারবারিদের রোষানলে পতিত হয়ে তাদের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়েন, তখন শঙ্কিত না হয়ে পারি না। প্রশাসনের নাকের ডগায় চোরাচালানিরা কতোটা সংগঠিত বাহিনীতে পরিণত হলে সরকারকে পরোয়া করে না, প্রকারান্তরে টাস্কফোর্স অভিযানে নিয়োজিত লোকজনদের ঘেরাও করার সাহস দেখাতে পারে, সেটা তুচ্ছ ঘটনা বলে উপেক্ষা করার বিষয় হতে পারে না। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সতর্ক তো হতেই হবে উপরন্তু সমস্যাটির নিরসনের একটি প্রকৃতপ্রস্তাবে কার্যকর ব্যবস্থাও নিতে হবে।
দেশের তিন দিকের সীমান্ত ভারতীয় সীমান্তের সঙ্গে যুক্ত। এই সুদীর্ঘ সীমান্ত রেখার প্রতি ইঞ্চিতে সেই ১৯৪৭ সাল থেকে চোরাচালানের বিস্তৃতি। দেশকে এই চোরাচালানের সঙ্গে যুদ্ধ করে কালাতিপাত করে আসতে হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কার্যকর কীছু করা যায় নি। অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে, সীমান্তবর্তী বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। এ নিয়ে এখানে বিস্তারিত লেখার অবকাশ নেই। কেবল বলি, এই বিরাট জনগোষ্ঠীর জীবিকানির্বাহের জন্য অন্যকোনও বৈধ ও তাদের জন্য যথোপযুক্ত বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা করতে না পারলে চোরাচালান কোনও দিনই বন্ধ হবে না। আমাদের অর্থনীতি বিদেশে সম্পদ পাচারে ব্যস্ত থাকলে দেশের ভেতরে কর্মসংস্থান তৈরি হওয়ার সামর্থ্য তৈরি হবে না। সেজন্য বিদেশে সম্পদ পাচার না হওয়ার দিকেও সরকারকে নজর দিতে হবে এবং সে টাকায় কর্মসংস্থান তৈরির প্রকল্প হাতে নিতে হবে।