1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ধোপাজানে বালুখেকো সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুরের ধোপাজান-চলতি নদীতে চলছে বালুখেকো সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। এই সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে ড্রেজার ও বোমা মেশিন দিয়ে নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করছে। অবাধে বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, ধোপাজান-চলতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে গতকাল সোমবার দুপুরে সুনামকণ্ঠ কনফারেন্স হলে এক সভায় মিলিত হন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বালু ব্যবসায়ী মহরম আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বালু ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ, মো. এখলাছুর রহমান, কবির হোসেন, মো. সাচ্চু মিয়া, জাহেদ আলী, জুয়েল আহমদ, আলাউর মেম্বার, শাহ ফজর আলী, মুজিবুর রহমান, আক্তার হোসেন, কালা মিয়া, ময়না মিয়া, হাবিব আহমদ, মো. হাবিবুর রহমান, সেলিম মিয়া, আইয়ুব আলী, মো. আমীন মিয়া, আবু সাইদ, জাকির হোসেন, তৈয়বুর রহমান, শামীম মিয়া, নুরুল হক, কাইয়ুম মিয়া, ফারুক মিয়া, জসীম উদ্দিন, খুরশেদ মিয়া প্রমুখ।
এ সময় ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি নদীর সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা অংশে ধোপাজান বালুমহালটি জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু মামলাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে তিন বছর ধরে এই বালুমহাল ইজারা দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দূর-দূরান্ত থেকে বালু ও পাথর সংগ্রহ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এতে পরিবহন ব্যয় বেশি পড়ছে। অপরদিকে, ধোপাজান বালুমহালটি ইজারা না হলেও বালুখেকো সিন্ডিকেট সেখান থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে। সম্প্রতি উত্তোলনের পরিমাণ আরও বেড়েছে। চক্রটি প্রতি রাতে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে ধোপাজান-চলতি ও সুরমা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে। পরে উত্তোলনকৃত এসব বালু নৌকাযোগে সরিয়ে অন্যত্র ডাম্পিং করে সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে অসাধু সিন্ডিকেট। এর ফলে একদিকে সরকার যেমন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে, অপরদিকে ইজারা না থাকায় বৈধভাবে বালু উত্তোলন না করতে পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তাই অবিলম্বে বালুখেকো সিন্ডিকেটকে প্রতিহত করার দাবি জানান তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে বালুখেকো সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। ধোপাজান-চলতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে পরিকল্পনামন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার বরাবরের একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করলেও এ ব্যাপারে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে দিন দিন অসাধু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বাড়ছে এবং বেপরোয়া হয়েছে ওঠছে ওই চক্রের সদস্যরা। তাদের ভয়ে স্থানীয়রা মুখ খুলতে ভয় পান। জেলার ব্যবসায়ীরা এখন অসহায়। কেউ প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকিসহ মারধর করতেও দ্বিধা করে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। আমাদের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকেরাও বিপাকে পড়েছেন। এ অবস্থায় অবিলম্বে ধোপাজান-চলতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ এবং এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে, সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. জিয়াউল হককে সভাপতি ও কবির হোসেনকে সাধারণ স¤পাদক করে সুনামগঞ্জ সদর-বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধোপাজান চলতি ও সুরমা নদী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই কমিটি বালুখেকো সিন্ডিকেট প্রতিরোধে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com