1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শেষ হয়নি দুই সেতুর কাজ : দুর্ভোগে দুই জেলার কয়েক লাখ মানুষ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ ::
নির্ধারিত সময় পার হলেও মধ্যনগর উপজেলার সোমেশ্বরী ও উবদাখালী নদীর উপর নির্মাণাধীন দুটি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এর ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জ জেলার চার উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। সেতু দুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন এন্ড কোং লি. দায়সারাভাবে কাজ করায় নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দুবছর পার হলেও স¤পন্ন হয়নি এ দুই সেতুর কাজ। এ পর্যন্ত উবদাখালী সেতুর প্রায় ৬০ ভাগ, সোমেশ্বরী সেতুর প্রায় ৪০ ভাগ কাজ স¤পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, উপজেলা সদরের মধ্যনগর বাজারটির উত্তরে সোমেশ্বরী ও পূর্বপাশে উবদাখালী নদী প্রবাহিত। এ দুই নদী পার হয়ে মধ্যনগরে উপজেলা সদরে আসা যাওয়া করতে হয় উপজেলার চার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষসহ জেলার পার্শ্ববর্তী নেত্রকোণা জেলা ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মানুষকে। মধ্যনগর-মহিষখোলা সড়কে সোমেশ্বরী নদী পার হওয়ার একমাত্র উপায় কায়েতকান্দা এলাকায় স্থাপিত বাঁশের চাটাইয়ের সেতু। বাঁশের তৈরি এ সেতু দিয়ে প্রতিদিনই শত শত যাত্রীবাহী মোটরসাইকেলসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ আসা-যাওয়া করেন। প্রায় ৫০ মিটার দীর্ঘ বাঁশের সেতুটি পার হতে গিয়ে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় পথচারীদের। অন্যদিকে মধ্যনগর বাজার ও পিঁপড়াকান্দার দূরত্ব কয়েকশ মিটার। মাঝখান দিয়ে উবদাখালী নদী বয়ে চলায় পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ইঞ্জিনচালিত খেয়া নৌকা। ঘাটে পৌঁছেই পারাপারের জন্য নৌকা পাওয়া গেলে ৫-৭ মিনিটে পৌঁছা যায় এপার থেকে ওপারে। কিন্তু একবার নৌকা ওপারে চলে গেলে ফিরে আসতে সময় লাগে আধা ঘণ্টারও বেশি। সেতু দুটি নির্মিত হলে হাওড়বেষ্টিত ভাটির জনপদ ধর্মপাশা, তাহিরপুর উপজেলা ও নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দাসহ আশপাশের এলাকার কয়েক লাখ মানুষের দুর্ভোগ কমবে। জেলার সীমান্তঘেঁষা টেকেরঘাট-বাদাঘাট থেকে মধ্যনগর-ধর্মপাশা, মোহনগঞ্জ, নেত্রকোণা হয়ে ঢাকা যাওয়া-আসা করা যাবে কম সময়ে।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে সেতু দুটি নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদিত হয়। ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর উবদাখালী নদীর ওপর ৪৭ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার ৮০০ টাকা ব্যয়ে ৩২০ মিটার এবং সোমেশ্বরী (কায়েতকান্দার পিছগাঙ্গা) নদীর ওপর ৪১ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ২২১ টাকা ব্যয়ে ৩১০ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণ কাজ পায় তমা কনস্ট্রাকশন এন্ড কোং লি. নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ৮ জুন সেতু দুটির নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর দুই বছর পার হলেও নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় দুলাখ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সেতু ও ছোট নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।
উপজেলার বংশীকুন্ডা কলেজের প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, সোমেশ্বরী ও উবদাখালি নদীর উপর সেতু দুটির নির্মাণ কাজে দীর্ঘসূত্রতায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা পরীক্ষার্থীদের।
মধ্যনগর উপজেলায় ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র উপজেলা সদর মধ্যনগরে হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের বেশিরভাগই দুই পাশের নদী পার হয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে হয়।
বংশীকুন্ডা উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী তালুকদার বলেন, সেতু দুটি স¤পন্ন হলে সীমান্ত এলাকা মহিষখলা, টেকেরঘাট, লাউড়েরগড় হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে ধর্মপাশা, মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে। কিন্তু কাজের ধীরগতির কারণে সবাই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি।
মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক পরিতোষ সরকার বলেন, সেতু দুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এ এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে নিঃসন্দেহে।
মধ্যনগর ও ধর্মপাশা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শাহাব উদ্দিন বলেন, আগের চেয়ে এখন কাজের গতি বেড়েছে। আশা করি আগামী একবছরের মধ্যে সেতু দুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com