1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

৭ কিলোমিটার সড়ক যেন মরণফাঁদ

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আনোয়ারপুর-নিয়ামতপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে জেলার চারটি (বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) উপজেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষ জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকেন। কিন্তু এ সড়কের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর বাজার থেকে তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কে ভাঙন, বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কটি পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সচেতন মহল বলেছেন, দীর্ঘ চার বছর ধরে এই সড়কটির বেহালদশা। জীবনের ঝুঁকি ও সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন মানুষজন। এছাড়া আবুয়া নদীর উপরে নির্মাণাধীন ব্রিজটির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করবেন। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, জেলা সদরের সঙ্গে বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও মধ্যনগরসহ ভাটি অঞ্চলের মানুষ যাতায়াতের সময় কমাতে বাইপাস সড়ক হিসেবে এটি ব্যবহার করে আসছেন। নিয়ামতপুর-আনোয়ারপুর সড়কপথে বেশি চলাচল করেন ভাটি অঞ্চলের বাসিন্দারা। কয়েক লাখ মানুষের যোগাযোগ রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির স্থানে স্থানে ভাঙন ও বড় বড় গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং, জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নসহ আশপাশের লোকজনও সহজে বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুরে যাতায়াত করেন এই সড়ক দিয়ে।
সরেজমিনে আনোয়ারপুর-ফতেপুর সড়কপথে গিয়ে দেখা গেছে, বালিজুড়ী ইউনিয়নের পাতার গ্রামের সামনে থেকে সড়কের স্থানে স্থানে পিচ-ঢালাই উঠে গেছে। শুধু তাই নয় সড়ক ভেঙে খালে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও এই সড়কে প্রতিটি ব্রিজের গোড়া থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাতের ফলে রাস্তার সৃষ্টি হওয়া গর্তের কাদাপানি মাড়িয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ২০২২ সালের বন্যায় সড়কের পাতারী থেকে বারুঙ্কা ও ফতেপুর বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকার সড়ক ভেঙে নালার মত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বর্ষাকালে এখানে খেয়া নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। ২০২২ সালের বন্যার পর আর এই সড়কে কোন কাজ হয়নি।
ফতেপুর ইউনিয়নের রঙ্গারচর গ্রামের বাসিন্দা জামিল মিয়া বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত করা হয়নি। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমন ভাঙাচুরা রাস্তা দিয়েই সবসময় আমাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। গত বছরের ভয়াবহ বন্যার পর মেরামত করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এখন প্রতিদিনই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে যোগাযোগ করা ঝুঁঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ফতেপুর-আনোয়ারপুর সড়কে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করেন আসাদ মিয়া। এই মোটরসাইকেল চালক জানান, বর্তমানে সড়ক দিয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। আর বৃষ্টির মৌসুমে এই সড়কের গর্তগুলো খাদে পরিণত হয়। ফলে প্রায়ই মোটরসাইকেল উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে।
সাতগাঁও গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের বেহাল অবস্থা। কিন্তু সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে হাওরের ঢেউয়ে সড়ক ভেঙে খালে পরিণত আর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফতেপুর ইউনিয়নে অধিকাংশ গ্রামেরই রোগী নিয়ে আনোয়ারপুর বাজার বা তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়। কিন্তু সড়কের এমন বেহাল অবস্থার কারণে দুর্ভোগের শেষ নেই।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক জানান, এই সড়কের ফতেপুরে আবুয়া নদীর উপরে নির্মিত ব্রিজটির কাজও প্রায় শেষ। চলতি বছরেই ব্রিজটি উদ্বোধন করা হবে। আর নিয়ামতপুর-আনোয়ারপুর সড়কের জন্য ২৫ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ন হয়ে আসলেই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com