1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

আলোর নিচে অন্ধকার মুছে যাবে

  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ মে, ২০২৩

বলতে গেলে (কেউ ইচ্ছে হলে হিসেব করে দেখতে পারেন) আজ থেকে হয় তো বা প্রায় একশত বছর আগে সুনামগঞ্জ দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে অর্থাৎ সরকারের মন্ত্রীপদে প্রতিনিধিত্ব করেছে। আর এতোকাল পরে এসে মন্ত্রিত্বে প্রতিনিধিত্বকারী একজন (পরিকলাপনামন্ত্রী এমএ মান্নান) সুনামগঞ্জের জন্যে বিজ্ঞানও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় নিয়ে এলেন। কাজটি সত্যি সত্যিকার অর্থেই একটি অবাককা-Ñ স্বপ্নসম্ভবের এক বাস্তবে বাস্তবায়ন। মহতি অগ্রগতির সূচনা তো বলতেই হবে। আর তখনই একজন পত্রিকায় লিখলেন, ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি শিল্প-সংস্কৃতির বাতিঘর হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু ঠিক উল্টো চিত্র উপজেলাগুলোতে। এ যেনো আলোর নিচে গাঢ় অন্ধকার।’ এবংবিধ সবটুকু না হলেও এতোটা সত্যোচ্চারণের জন্য প্রতিবেদককে (জাহাঙ্গীর আলম) ধন্যবাদ।
সমগ্র বাংলাদেশের আর্থনীতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের নিরিখে সুনামগঞ্জের উন্নয়ন এখনও তলানিতেই ঠেকে রয়েছে। এখানকার উন্নয়নের ধারা এখনও সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে শোষণ ও পশ্চাৎপদ করে রাখার অভিপ্রায়ে পরিচালিত হচ্ছে। যাঁরা সুনামগঞ্জের এই পশ্চাৎগতি কিংবা স্থবিরতাকে কাটাতে পারতেন তাঁরা নিজেদের আখের গুছানোতে এখনও ব্যস্ত আছেন। সেটা সত্যে প্রতিপন্ন হয় যখন আমাদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দাবিকৃত লাগোয়া খালি জায়গা দখলচ্যুতির বাসনা বাস্তবায়নের কার্যক্রম মহলবিশেষের পক্ষ থেকে উথলে উঠে। এমন অনেক কার্যক্রম আছে যেগুলোর উদাহরণ টেনে প্রমাণ করা যাবে, সুনামগঞ্জে আঁধার অবসানের বিপরীত নীতির রাজনীতি এখনও প্রবল প্রতাপে বিরাজ করছে। কেবল সুবিপ্রবির কার্যক্রমটিসহ তার সঙ্গে ওতপ্রোত কয়েকটি কার্মকা- তার ব্যতিক্রম।
জনাব আলমের সঙ্গে সর্বাংশে আমরা একমত নই। কেবল এইটুকুই বলতে চাই যে, তিনি যেভাবে উপজেলায় বিরাজিত সাংস্কৃতিক অন্ধকারকে প্রত্যক্ষ করে তার সম্পর্কে বয়ান প্রক্ষিপ্ত করেছেন. সে-ভাবে সুনামগঞ্জ শহরের শিল্পকলা একাডেমির অভ্যন্তরে বিরাজিত আলোছায়ার পরিসরে ছায়ার দিকটিকেও তাঁর বয়ানের অন্তর্ভুক্ত করতে পারতেন এবং সেটা করতে পারলে তাঁর প্রতিবেদনটা আরও পরিচ্ছন্ন ও পূর্ণতার পর্যায়ে পর্যবসিত হতে পারতো। তবু তাঁকে আবারও এই ইতিবাচক প্রতিবেদনের জন্যে ধন্যবাদ জানাই।
সার্বিক অর্থে সাংস্কৃতিক অন্ধকার নিরসনের কাজ একবারে থেমে নেই। দ্বিবিধ প্রকরণে সে-কাজ চলছে। এর একটি পুঁজিবাদী দিক আছে। যে-টা মানুষকে বুঝাতে চেষ্টা করে বা বুঝায় যে, অন্ধকার নিরসনের কাজ চলছে। কিন্তু প্রকৃতপ্রস্তাবে শেষ পর্যন্ত সমাজ কখনওই আলোর মুখ দেখতে পায় না। হাওররক্ষা বাঁধের বরাদ্দ আসে, কিন্তু সেটার সিংহভাগ আত্মসাত থেকে রক্ষা পায় না। কিংবা বিভিন্ন খাতে শিল্পকলা একাডেমির যে-বাজেট সংস্কৃতিমন্ত্রণালয় থেকে আসে সে-সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কখনওই অবগত হতে পারেন না, কী হয় না হয় তাও তাঁরা জানতে পারেন না। বললে বলা তো যায়ই যে, এখানেও সেই একই অন্ধকার বিরাজ করে। এমনি অন্ধকার বিনাশী হাজারটা কাজ প্রতিনিয়ত ব্যর্থতার কলঙ্কে কলঙ্কিত হয়। অন্ধকার আর দূর হয় না। বেশি কীছু বলতে চাই না আর সম্পাদকীয়তে তেমন করে বলারও অবকাশ নেই। কেবল বলি পুঁজিবাদী প্রকরণের বিপরীতে একটি অন্ধকার বিনাশী প্রচেষ্টা সমাজের অভ্যন্তরে কার্যকর আছে, সেটা পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে উৎখাত করে সামাজিক শোষণ-নির্যাতন আবসানের জন্যে কাজ করছে এবং জনতার সে-প্রয়াস ব্যর্থ হবে না, ‘আলোর নিচে গাঢ় অন্ধকার’ মুছে যাবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com