1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

প্রকল্পের মালামাল চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে একাট্টা সিন্ডিকেট

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর গ্রামে বাস্তবায়নাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের মালামাল চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিতে একাট্টা হয়েছে অসাধু সিন্ডিকেট। সরকারের এই প্রকল্পকে বিতর্কিত করতে পরিকল্পিতভাবে সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বুধবার (৩ মে) বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে টাস্কফোর্স কমিটির সভায় লালপুর গ্রামে বাস্তবায়নাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদকে মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মুজিববর্ষের গৃহনির্মাণ প্রকল্পের টাস্কফোর্স কমিটির উপদেষ্টা খায়রুল হুদা চপল।
এ সময় তিনি জানান, সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে গৃহনির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। সংবাদে বলা হয়েছে- রড ছাড়া ঘর তৈরি করা হচ্ছে। অথচ প্রতিটি ঘরে রড ব্যবহার হয়েছে। ঘর বরাদ্দে অর্থ গ্রহণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। ওই টিভি চ্যানেলে যাদের বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে, এরা প্রত্যেকেই গৃহনির্মাণ প্রকল্পের মালামাল চুরির আসামি এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন। প্রকল্পের মালামাল চুরির মামলা ধামাচাপা দিতে চোর সিন্ডিকেট মিথ্যাচার করছে বলে জানান তিনি।
এদিকে টাস্কফোর্সের সভায় ওই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দেয়া তথ্য থেকে জানাযায়, লালপুরের মুজিববর্ষের নির্মাণাধীন গৃহনির্মাণ প্রকল্পের মালামাল চুরির বিষয়ে গত এপ্রিল মাসে তিনটি মামলা দায়ের করে উপজেলা প্রশাসন। পৃথক তিনটি মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. সারোয়ার হোসেনসহ লালপুর গ্রামের অন্তত ২০জনকে আসামি করা হয়। মুজিববর্ষের গৃহনির্মাণ প্রকল্পের ইট, বালি, সিমেন্ট, কাঠ, রডসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী চুরির অভিযোগ আনা তাদের বিরুদ্ধে। যা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এই মামলায় কারাভোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মো. সারোয়ার হোসেন।
অনুসন্ধানে জানাযায়, মামলা দায়েরের পরই সরকারের এই উদ্যোগকে বিতর্কিত করতে একাট্টা হয় গৃহনির্মাণ প্রকল্পের মালামাল চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিরা। তাদের দেয়া মিথ্যা তথ্য ও বক্তব্যের মাধ্যমে সাজানো হয় ওই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ। ২৮ এপ্রিল প্রচারিত সংবাদে যাদের বক্তব্য নেয়া হয়েছে তারা প্রকল্পের মালামাল চুরির মামলার আসামি এবং তাদের স্বজন।
প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে ওই টিভি চ্যানেলে বক্তব্য দিয়েছেন লালপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়া। তিনি প্রকল্পের মালামাল চুরির মামলা-৪/১১৭ এর প্রধান আসামি। এছাড়াও মামলার অপর আসামি তার দুই ছেলে এমদাদুল ও আজিজুল এবং তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে ওই টেলিভিশন চ্যানেলে বক্তব্য প্রচার করা হয়। এছাড়াও সংবাদের বিভিন্ন অংশে যারা অভিযোগ করেন তারা কোনো না কোনো চুরির মামলার আসামি ও তাদের আত্মীয়-স্বজন বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী জানান, ওই টেলিভিশন চ্যানেলে অভিযোগকারী প্রত্যেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও চুরির মামলার প্রধান আসামি মো. সারোয়ার হোসেনের নিজস্ব লোকজন। সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে বিতর্কিত করতে মো. সারোয়ার হোসেনের পরিকল্পনায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সাজানো সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন বলেন, মুজিববর্ষের ঘর সরকারের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রকল্পের কাজ বার বার তদারকি করে। এখনো কাজ হস্তান্তর বা শেষ হয়নি। কোথাও কোনো ঘাটতি হলে আমরা তা পুনরায় দেখে থাকি। কিন্তু একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যে সংবাদ প্রচার করেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আশা করছি গণমাধ্যমকর্মীরা সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা নিরিখে সংবাদ প্রচার করবেন।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com