স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের উত্তরপাড়ায় জন চলাচল সড়কের উন্নয়নকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে সড়কটি স্থানীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিও জানান গ্রামবাসী।
ইসলামপুর-মালাইগাঁও যাতায়াত সড়ক পয়েন্টে নাজিম উদ্দিনের দোকানের পাশে দিয়ে মাটি ভরাট করে নির্মাণ হওয়া সড়কটি গ্রামের ভেতর দিয়ে সুলতান মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসী দাবি তোলেছেন জলফু মিয়া নামের মসজিদ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণ করতে। সড়কটি এই পর্যন্ত নির্মাণ করতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা। এই টাকা দিয়ে সুলতান মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত সড়কে মাটি ভরাটের যে কাজ হয়েছে এতে গ্রামের বাসিন্দা অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করে নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলেছেন।
গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, মাটির সড়ক নির্মাণে ২ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সব টাকার কাজ এখনও হয়নি। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ৪-৫ ফুট করে প্রশস্ত করা হয়েছে। সড়কে পরিমাণ মতো উচ্চতা নেই। মাটি ভরাটের কাজও ভাল হয়নি। সড়কটি জলফু মিয়ার মসজিদ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত সম্প্রসারণ করে নির্মাণ করা প্রয়োজন।
এ সব অভিযোগে সহমত পোষণ করেন উপস্থিত গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন, মোমেন মিয়া, হযরত আলী, আব্দুল কাদির, লিয়াকত আলী, বিলাল মিয়া, আলম মিয়া, জহির উদ্দিন, রইছ মিয়াসহ অনেকে। তাঁরা নাজিম উদ্দিনের দোকান থেকে জলফু মিয়ার মসজিদ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত নিয়ম অনুযায়ী মাটি ভরাটের মাধ্যমে সড়ক নির্মাণের দাবিও জানান।
এ সময় উপস্থিত সড়ক নির্মাণ কমিটির সদস্য কুতুব উদ্দিন ও শিশু মিয়া সড়ক নির্মাণ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। তাঁরা জানান এই সড়ক নির্মাণ কমিটির সদস্য রুবেল মিয়া বরাদ্দের টাকা তোলেন এবং নিজেই কাজ করান। তাদেরকে কিছুই জানান নি।
সড়ক নির্মাণ কমিটির সদস্য রুবেল মিয়া জানান, গ্রামের মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে মাটির সড়ক নির্মাণের জন্য স্থানীয় এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ মহোদয়ের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। তন্মধ্যে অফিসের ভ্যাট ও অন্যান্য খাতে কর্তন করার পর যে টাকা পেয়েছি, এই টাকার কাজ এখনও চলছে। কিছুদিনের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ হবে। তবে জলফু মিয়ার মসজিদ পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজের জন্য পুনরায় বরাদ্দ চাওয়া হবে। তখন ওই অংশ সড়কের কাজ হবে। এক প্রশ্নের জবাবে রুবেল মিয়া বলেন, কমিটির লোকজনকে নিয়ে কাজ করেছি। এখন কমিটির কেউ আমার সামনে অনিয়মের কথা বলছেন না।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মানিক মিয়া বলেন, সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর উত্তরপাড়ার গ্রামীণ মাটির সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। কাজ এখনও শেষ হয়নি। এই কাজে কড়া নজরদারি আছে। কাজ শেষে যদি অনিয়ম পাওয়া যায়, তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।