শাল্লা প্রতিনিধি ::
শাল্লা উপজেলার ভান্ডাবিল হাওর উপ-প্রকল্পের ১৯নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) কমিটিতে দেবল তালুকদার নামের এক কৃষকের স্বাক্ষর জাল করে তাকে সদস্য হিসেবে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে দেবল তালুকদারের স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওই ভিডিওতে দেবল তালুকদার বলেন, “পিআইসির আমি কোনো কিচ্ছু জানিনা! পাবেল (১৯নং পিআইসি’র সদস্য সচিব) আমারে কইছে তোমার আইডি কার্ড দেও আর একটা ছবি দেও, বাড়ির পর্চাও দেও। আমি কইছি কিতার লাগি? তখন পাবেল আমারে কইছে তোমার একটা লাভ অইব। পরে মাঘ মাসে আবার আমারে ফোন দিছে। ফোন দিয়া কইতাছে দেবলদা তুমি একটু ঘুঙ্গিয়ারগাঁও আইতইবায়। আমি কইছি আমার ইতার সময় নাই। পরে আমারে কইছে দেবলদা তোমার আওন লাগত না, সাইরালাইছি!” অন্যদিকে, পিআইসিতে সদস্য হিসেবে থাকতে কোনো স্বাক্ষর দিয়েছেন কিনা-জনৈক ব্যক্তির এমন প্রশ্নের উত্তরে দেবল তালুকদার বলেন, “আমি কোনো পিআইসিতে স্বাক্ষর দেই নাই!” ইতা সব ভুয়া বলেও জানান তিনি। দেবল তালুকদার উপজেলার নারকিলা গ্রামের মৃত সুদীন তালুকদারের ছেলে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহ¯পতিবার (৬ এপ্রিল) ১৯নং পিআইসি’র সদস্য সচিব পাবেল আহমেদ বলেন, দেবল তো একথা বলে নাই! ভুল বলতেছেন আপনি। এ সময় কৌশলে কথা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পাবেল আহমেদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক দেবল তালুকদার বলেন, আমি কোনো সময় স্বাক্ষর দেই নাই। কোনো অভিযোগ করবেন কিনা জানতে চাইলে- তিনি বলেন আমি গরিব মানুষ। এনিয়ে আমার কোনো সমস্যা হলে অভিযোগ করবো।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে অন্যান্য বারের মতই তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, কারো স্বাক্ষর জাল করা নিঃসন্দেহে অপরাধ। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ভান্ডাবিল হাওর উপ প্রকল্পের আওতায় ফসলরক্ষা বাঁধ মেরামতের জন্য ওই পিআইসির ৮৯০ মিটারে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফসলরক্ষা বাঁধের নামে এখানে রাস্তা নির্মাণের জন্য এই প্রকল্প দেয়া হয়েছে।