স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয় না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে শহরের রমিজ বিপণিস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে চলছে দলীয় কার্যক্রম। তবে এবার সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট এবং সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন। তারা দলের স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের জন্য সুনামগঞ্জ পৌরসভার মালিকানাধীন ভূমি বরাদ্দ চেয়েছেন। রোববার (২ এপ্রিল) সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট ও সাধারণ স¤পাদক নোমান বখত পলিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আবেদনপত্র পৌর মেয়র নাদের বখতের কাছে জমা দেয়া হয়। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক নোমান বখত পলিন বলেন, আমাদের কমিটমেন্ট ছিলো নতুন কমিটিতে যদি আমাদের দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে আমরা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন একটি অফিস করবো। এরই অংশ হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের একটি স্থায়ী অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী ও বড় পরিসরে কার্যালয় স্থাপনের জন্য আমরা বেশ কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেছি। শহরের হোসেন বখত চত্বর সংলগ্ন পৌরসভার মালিকানাধীন ভূমিটি বরাদ্দ পেলে সেখানে নিরিবিলি পরিবেশে সাংগঠনিক এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। তাছাড়া সেখানে ট্রাফিক জ্যামও হবে না।
নোমান বখত পলিন আরও বলেন, ১২টি উপজেলার মানুষজন তাদের সাংগঠনিক কাজের জন্য দলীয় কার্যালয়ে আসতে পারেন, নেতাদের বাসায় বাসায় যাতে আর দৌড়াতে না হয়, এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে একটি স্থায়ী অফিস স্থাপনের জন্য চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী কোনো অফিস না থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। উপজেলার নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষজন একত্রে বসার পরিবেশও ছিল না। যার ফলে দলের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের জন্য আমরা দুটি জায়গা পরিদর্শন করেছি। একটি হলো সুনামগঞ্জ শহরের হোসেন বখত চত্বর সংলগ্ন ডায়াবেটিকস হাসপাতাল যেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে এবং অপরটি সুনামগঞ্জ স্টেডিয়ামের পাশের খালি জায়গা। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বরাবরে একটি আবেদন করা হয়েছে। তিনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।
নূরুল হুদা মুকুট আরও বলেন, দীর্ঘদিন শহরের রমিজ বিপণিস্থ আমার নিজস্ব দুটি ঘরে জেলা আওয়ামী লীগের অফিস হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। প্রয়াত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ এটি উদ্বোধন করেছিলেন। ১৯৮৩ সাল থেকে সেখান থেকে দলের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বিগত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের জেলা আওয়ামী লীগের অফিস নিয়ে কোনো চিন্তা-ভাবনা ছিলো না। তারা ঢাকামুখি ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের আবেদনপত্রটি পেয়েছি। জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমি অবশ্যই পৌর পরিষদের মিটিংয়ে এই বিষয়টি উত্থাপন করবো। পৌর কাউন্সিলরদের সাথে আলোচনাপূর্বক পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।