1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

প্রসঙ্গ : ‘আমরা সবাই কর্মচারী’

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩

‘পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, আমাদের সংবিধানে কর্মকর্তা বলে কোন শব্দ নেই। আইনগতভাবে আমরা সবাই কর্মচারী। দেশের জনগণই আমাদের প্রভু, আমাদের কর্তা। তাদেরকে সম্মান করতে হবে। তিনি বলেন, জনগণের সেবা করতে হবে। মনে রাখতে হবে এই দেশের জনগণই এই দেশের মালিক। সুতরাং সরকারি কর্মচারীরা অযথা জনগণের স¤পদ নষ্ট করতে পারবেন না। তাদের প্রধান কাজই জনগণের সেবা করা।
শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল ১১টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদ তালেব ও কৃপেন্দ্র দাসের সমাধিতে পু®পস্তবক অর্পণ পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এমএ মান্নান এসব কথা বলেন।’
এমন বক্তব্য সাধারণত কোনও রাজনীতিবিদ এমন প্রবলাকারে জনসমক্ষে প্রকাশ করেন না। ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জের শতভাগ ফসলহানির পর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় এক সচিব বলেন, সুনামগঞ্জের অর্ধেক জনসংখ্যা মারা গেলে পর সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা যাবে। নিয়ম নাকি এ রকমই। আর এখানে তো একটি ছাগলও মরেনি। ফসলহানির বিষয়টা যেনো কীছুই নয়।
ফসলহারা সুনামগঞ্জবাসী নাকি কীছুই না জেনে সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার ফালতু দাবি করছেন। তিনি বললেন, সুনামগঞ্জবাসী কীছুই জানে না। বৈঠকে একজন মন্ত্রী ছিলেন, তিনি এই সচিবের বক্তব্যের বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি।
আমাদের এমএ মান্নানও একজন মন্ত্রী। তাঁর উপরোক্ত বক্তব্যের জন্যে তাঁকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের দেশে ব্রিটিশ আমল থেকে বিরাজিত আমলাতান্ত্রিকতার মধ্যে জনবিরোধী প্রবণতার বিরোধী ছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুও। তিনিও জনসমক্ষে তাঁর বিভিন্ন ভাষণে এমনি বক্তব্য তোলে ধরেছেন, তার প্রমাণ আছে। কেউ কেউ বলেন এখন দেশে ক্রোনিক্যাপিটালিজম চলছে। অর্থাৎ রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ী এই তিন শ্রেণির সম্মিলিত শক্তির হাতে এখন দেশের রাজনীতি-অর্থনীতির লাগাম। সেটা দেশকে চূড়ান্ত মাত্রায় শোষণ করে চলেছে। ইতোমধ্যে সুষম উন্নয়নের দাবি উঠেছে এবং আমাদের দেশে সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই ক্রোনিক্যাপিটালিজমের এই দুষ্টচক্র থেকে দেশকে বেরিয়ে আসতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই।
দেশপ্রেমিক আমলাদেরকে অবশ্যই দেশের মানুষের প্রতি কর্তৃত্ব-প্রভুত্বের মনোভাব ছেড়ে দেশের সেবায় এগিয়ে আসতে হবে। খিচুড়ি রান্না শেখার জন্যে ব্যয়বহুল বিদেশ ভ্রমণের নামে টাকা কামানোর মনোভাব বাদ দিতে হবে।
বলার এখন সময় এসেছে। কোনও মন্ত্রী আগে এমন করে জনসমক্ষে আমলাবিরোধী কথা বলতেন না, এখন বলেন। কারণ জনবিরোধী যে-সব আমলা আছেন তাঁদেরকে এই কথা বুঝতে হবে যে, দেশের সেবা অর্থাৎ সাধারণ মানুষদের সেবা করার জন্যে তাঁরা চাকরি করেন। এই নীতির বাইরে কোনও চাকরি নেই।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com