স্টাফ রিপোর্টার ::
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরে এই অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকার পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জেও এই অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার শহরের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানপাট পরিদর্শন করেন এবং বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন। তখন প্রতিটি দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা দৃশ্যমান স্থানে সাঁটিয়ে রাখার নির্দেশ দেন। এ সময় কয়েকটি দোকানে মূল্য তালিকা না পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন এবং প্রাথমিকভাবে জরিমানা করেন।
মূল্য তালিকা না থাকায় জগন্নাথবাড়ি এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী শ্যামল রায়কে ১ হাজার টাকা, চন্দন কুমার দে-কে ১ হাজার টাকা, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের রাজু সরকারকে ১ হাজার টাকা ও দোজা শপিং সেন্টারের সৌখিন ইলেকট্রনিক্স এন্ড জেনারেল স্টোরে মূল্য তালিকা না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকার উপ-পরিচালক মো. মাছুম আরেফিন, সহকারী পরিচালক সুনামগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. আল-আমিন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের স¤পাদক পংকজ দে, দৈনিক সুনামকণ্ঠ’র সিনিয়র রিপোর্টার আকরাম উদ্দিন, ইন্ডিপেনডেন্ট চ্যানেল প্রতিনিধি জাকির হোসেন, এনটিভি প্রতিনিধি দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ স¤পাদক আব্দুল আওয়াল।
অভিযান শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকার পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাংবাদিকদের জানান, সার্বিক বাজার ব্যবস্থাপনা কেমন চলছে, বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য সুনামগঞ্জে এসেছেন তিনি। সুনামগঞ্জের বাজারে পর্যাপ্ত মালামাল সরবরাহ রয়েছে বলে জানান। আগামী রমজান মাসে যাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না হয়, সে জন্য বাজারের প্রতি তাঁদের কড়া নজরদারি থাকবে। যদি বাজারমূল্য বৃদ্ধি পায় তবে বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ স¤পাদককে দায়ী করা হবে বলেও জানান।
তিনি জানান, কোনো মজুতদারী যদি মালামাল স্টক করে মূল্য বৃদ্ধি করেন, তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশ অনুযায়ী মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই অপরাধে প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, বাজার স্থিতিশীল রাখতে শহরে নয়, গ্রামীণ হাট-বাজারেও কড়া নজর রাখা হবে। মূল্য বৃদ্ধিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।