1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাসকে নিয়ে অপপ্রচারে সুধীজনের নিন্দা

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩

অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাসকে নিয়ে অপপ্রচারে সুধীজনের নিন্দা শাল্লা প্রতিনিধি ::
শাল্লা উপজেলার গুণ ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাসকে নিয়ে কয়েকটি ভুঁইফোড় অনলাইনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করেছে একটি কুচক্রী মহল। তারই প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় উঠেছে উপজেলাজুড়ে। এমন অসত্য, বানোয়াট ও মনগড়া সংবাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলার সুধীজনরা।
শনিবার (১৮ মার্চ) উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, অধ্যাপক তরুণ স্যার তো একজন ভালো মানুষ। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচারের নিন্দা জ্ঞাপন করেন তিনি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দাশ বলেন, ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এমন অসত্য সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সহ-সভাপতি রথীন্দ্র চন্দ্র সরকার বলেন, এটি নিঃসন্দেহে অপপ্রচার। দুর্নীতির সাথে জড়িতরাই এমন অপপ্রচার চালিয়েছে। আমি এমন ভিত্তিহীন ও মনগড়া সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস একজন ভালো মানুষ। সব সময় তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন। তাঁর বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার করেছে তারা ঘৃণিত কাজ করেছে। আমি এই অপপ্রচারেরতীব্র প্রতিবাদ জানাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, তরুণ কান্তি দাসের মতো সমাজের একজন গুণী মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা গুরুতর অন্যায় কাজ। এভাবে একজন শিক্ষিত মানুষের মানহানি করে সংবাদ করা সঠিক নয়। আমি এই অপপ্রচারের নিন্দা জানাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বলরাম দাস বলেন, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এভাবে অপপ্রচার করা ঠিক হয়নি। তিনি তো দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ করেন। তিনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ।
বিশিষ্ট ব্যক্তি হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস তো সমাজের একজন সজ্জন ব্যক্তি। একজন ভালো মনের মানুষ তো বটেই। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
সাবেক শিক্ষক ও কবি রবীন্দ্র চন্দ্র দাশ বলেন, অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস তো প্রকৃত একজন মানুষ গড়ার কারিগর। সমাজের পথ প্রদর্শক। একজন গুণী ও বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর মতো একজন সমাজ কল্যাণকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যখন অপপ্রচার হয়, তখন বুঝা যায় সমাজ কোথায় যাচ্ছে। এটা তো মানহানিকর। আমার মনে হয় যাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে, তারাই এমন জঘন্যতম কাজ করেছে। এই অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
অধ্যাপক কানাইলাল সরকার বলেন, একজন শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অসত্য সংবাদ নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় কাজ। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন এমন সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনিও।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক বাহারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বরেণ্য ও প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তি রামানন্দ দাশ বলেন, এটা তো কল্পনার বাইরে। সমাজের একজন স্বনামধন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার মেনে নেয়া যায় না। এসব অসত্যের বিরুদ্ধে সমাজের প্রত্যেক সচেতন মানুষকে প্রতিবাদে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রেমবাসী দাস বলেন, আমার জায়গার উপর দিয়ে পিআইসির বাঁধ গেছে। আমাকে ১২৮নং পিআইসির সদস্য সচিব রাখা হয়েছে। এটি তো আমার অধিকার। এখানে আমার ভাইয়ের কোনো হাত ছিলো না। আমার ভাই অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাসকে নিয়ে যে অপপ্রচার চালিয়েছে, আমি তা আজকে (১৮মার্চ) শুনেছি। ওইসব কথিত সাংবাদিকরা আমার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। আমি তাদের টাকা দিই নাই। এ কারণেই আমার ও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে তিনি আইনীভাবে মোকাবিলা করবেন বলে জানান ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে একটি মহল। তারা আমাকে জড়িয়ে যেভাবে সংবাদ উপস্থাপন করেছে, তাতে আমি সত্যিই বিব্রত। সংবাদের পরিভাষাও ছিলো অনেকটা অশালীন। কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি, সিন্ডিকেট কিংবা সমাজ ধ্বসের সাথে আমি জড়িত থাকতে পারি না, নেইও। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ঐক্য পরিষদের সাথে আমি যুক্ত নইয়। আমি একজন শিক্ষক। সমাজের নানা বিষয় নিয়ে মানুষ আমার কাছে। সমাধান করারও চেষ্টা করি। শিক্ষকতার পাশাপাশি সব সময় সমাজহিতৈষী কাজকর্মে আমি নিয়জিত থাকি। যেহেতু আমি সামাজিক সংগঠন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাথে যুক্ত, সেহেতু কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমি সেখানে ছিলাম। আমি সেদিন কলেজ থেকে ছুটিও নিয়েছি। আমার যা কিছু কর্মকা- সবই সমাজের কল্যাণকর কাজের জন্য। তবে এমনটি এই প্রজন্মের ছেলেদের নিকট আশা করেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
জানা যায়, শাল্লা ডিগ্রি কলেজের একমাত্র প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক তরুণ কান্তি দাস। কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে একাই তিনি বাংলা, ইংরেজি ও ব্যবসা শাখার অধিকাংশ বিষয়ে পাঠদান করতেন। এখনও তিনি ব্যবসায় শিক্ষা শাখার একমাত্র শিক্ষক। এমন একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবস্থান করে অসৎকর্মে লিপ্ত কিছু কথিত সংবাদকর্মী। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে এমন অসত্য সংবাদ পরিবেশন করে একজন সম্মানিত কলেজ শিক্ষকের মানহানি করেছে তারা।
এনিয়ে প্রবীণ ব্যক্তিত্ব আজমাণ গণি তালুকদার ¯পষ্ট ভাষায় বলেন, চামচামি করার একটা সীমা থাকে। এরা তো দেখি সীমা অতিক্রম করে স্বনামধন্য একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে। আমি ওই নিন্দনীয় সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত সেন বলেন, সমাজের শ্রদ্ধাভাজন একজন স্বনামধন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করা মূলধারার সাংবাদিকদের কাজ নয়। অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস না কোনো পিআইসি, না কোনো সাইনবোর্ড, না কোনো সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে যে সংবাদ করা হয়েছে তা স¤পূর্ণ অপপ্রচার। এটি হলুদ সাংবাদিকতার নামান্তর। সাংবাদিকরা সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক। একজন গুণী মানুষের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা সাংবাদিকদের কাজ নয়। মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদে সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। অপপ্রচার, গুজব সৃষ্টি করা সাংবাদিকদের কাজ নয়। যারা সংবাদ প্রচার করেছে তারা নিজেরাই পিআইসির সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমি। তারা শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের কেউ নয়। কথিত সাংবাদিকদের নানা অপকর্মের কারণেই প্রেসক্লাবে রাখা হয়নি তাদের বলে জানান প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত সেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com