গত শুক্রবার (১৭ মার্চ ২০২৩) ছিল হাওরাঞ্চলের সংগ্রামী এক মানুষ আজাদ মিয়ার মৃত্যুর দিন। তিনি কোনও বিপুল ধনে ধনী, বড় রাজনীতিবিদ কিংবা বড় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মতো বিখ্যাত কেউ ছিলেন না। তিনি ছিলেন হাওরাঞ্চলের বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াকু একজন মানুষ। তিনি হাওররক্ষা বাঁধে সংঘটিত চলমান দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামে ছিলেন আপোষহীন। হাওরাঞ্চলে চলমান লুটপাটে নিমগ্ন কায়েমী স্বার্থবাদী দুর্বৃত্ত লুটেরাদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে তাঁকে।
তাঁর সম্পর্কে গত শুক্রবারের দৈনিক সুনামকণ্ঠের এক সংবাদপ্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনে দেখার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় ইপি চেয়ারম্যান নূরুল হকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি। এ কারণে দুর্নীতিবাজচক্র তাঁকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। এ ঘটনার জেরেই ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ রাতে সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ের সামনে তাঁকে লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে ভাড়াটে খুনীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ মার্চ মারা যান তিনি।’
আপাতত বেশি কীছু বলতে চাই না। কেবল বলতে চাই, তাঁর খুনিদের বিচার করুন, যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে। আর একটি কথা না বললেই নয়। সেটা হলো, হাওরাঞ্চলের দুঃখমোচনের সংগ্রামে ব্রতী হয়ে শহীদ হয়েছেন আজাদ মিয়া। তাঁর এই প্রাণদানে মহিমান্বিত আত্মত্যাগ যেনো বৃথা না যায়। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সকল নেতা ও এই আন্দোলনে শরিক হাওরবাসীরা সে কথা ভুলে যাবেন না। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত রাখুন।