স্টাফ রিপোর্টার ::
বাউল স¤্রাট শাহ আব্দুল করিমের গান ও সুর এবং তাঁর ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেছেন, বাউল স¤্রাট শাহ আব্দুল করিম শুধু সুনামগঞ্জের না, তিনি সারা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের গর্ব। উনি জীবনে অনেক কঠিন সময় পার করেছেন। তিনি অজ¯্র গান লিখেছে, সুর দিয়েছেন। তিনি ছিলেন বাস্তববাদী একজন খাঁটি পুরুষ। ইউনেস্কো যে উদ্যোগটি নিয়েছে সেটি অত্যন্ত প্রশংসনীয়। শাহ আব্দুল করিমের জীবন ও কর্ম – তাঁর গানগুলো তারা সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন। আমি সেটির সাধুবাদ জানাই। বাউল স¤্রাট শাহ আব্দুল করিমকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, সেজন্য এই কাজটি অত্যন্ত জরুরি।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট সোসাইটির আয়োজনে শাহ আব্দুল করিমের জীবন ও কর্ম বিষয়ক ইউনেস্কোর অংশগ্রহণমূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালনা ধ্রুপদ চৌধুরী নূপুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ্, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. তাজউদ্দিন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ঊষা রায়।
দিরাই তথ্যসেবা কর্মকর্তা পারমিতা দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন শাহ আব্দুল করিম পরিষদের সভাপতি শাহ নুরজালাল। এছাড়া বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভাটিবাংলা বাউল একাডেমি ও গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি শাহ আব্দুল তোয়াহেদ।