1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২০ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শাল্লা ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও : “বাঁধ নির্মাণের নামে সরকারের টাকা লুটপাট করা হচ্ছে”

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩

 

শাল্লা প্রতিনিধি ::

শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন, শাল্লা উপজেলা কমিটি। অনিয়ম-দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রকল্প গ্রহণ, অক্ষত অল্প ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ দিয়ে সরকারের অর্থ নষ্ট এবং বর্ধিত সময়েও বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে এ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। বুধবার দুপুর ১২টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। ঘণ্টাব্যাপী ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

এর আগে গত রোববার জামালগঞ্জ উপজেলায় একই কর্মসূচি পালন করে হাওর বাঁচাও আন্দোলন। পর্যায়ক্রমে জেলার ১২টি উপজেলায় এ কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গেছে।

হাওর বাঁচাও আন্দোলন শাল্লা উপজেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ স¤পাদক জয়ন্ত সেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ স¤পাদক বিজন সেন রায়, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ স¤পাদক ওবায়দুল হক মিলন, বাঁধ বিষয়ক স¤পাদক রাজু আহমেদ, একাত্তর টেলিভিশন ও দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শামস শামীম, শাল্লা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি অবিনাশ চন্দ্র দাশ, হবিবপুর ইউনিয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সহ-সভাপতি রথীন্দ্র চন্দ্র সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ স¤পাদক মিঠু চন্দ বিশ্বাস প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, নির্ধারিত সময় ২৮ ফেব্রুয়ারির পরে বর্ধিত সময় বাড়িয়েও ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর পেছনে রয়েছে নানা অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি। অনেক প্রকল্পে প্রকৃত কৃষকদেরকে বাঁধ রক্ষার দায়িত্ব না দিয়ে ব্যবসায়ীদের বাঁধের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। হাওরে ফসলডুবি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। বক্তারা বলেন, বাঁধ নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করা হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা। এজন্য সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবারও বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। এখনো অনেক কাজ বাকি। কাজে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। জেলার সবচেয়ে বেশি প্রকল্প শাল্লায়। এখানে অনিয়ম-দুর্নীতিও বেশি। সময় যতই যাচ্ছে, ফসলের ঝুঁকি ততই বাড়ছে। বাঁধ নির্মাণে অবহেলায় হাওরের ফসলের কোনো ক্ষতি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

সমাবেশে হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, হাওরে বাঁধ ব্যবসা শুরু হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের কাজ ঘিরে একটি লুটেরা সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ওই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবার অবহেলা ও অনিয়মের কারণেই বাঁধের কাজ সময়মতো শেষ হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।

পরে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল ইউএনও আবু তালেবের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভিযোগ ও উদ্বেগের কথা জানান।

শাল্লা ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি কৃষকসহ সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে শাল্লা উপজেলার ৬টি হাওরের ১০৬ কি.মি. বাঁধের ভাঙা বন্ধকরণ ও মেরামত কাজে ১৯৭টি প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। যা গত অর্থ বছরে ৮৭কি.মি. বাঁধ সংস্কারে ১৩৮টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি টাকা। এবছর উপজেলায় প্রায় ২৪ হেক্টর বোরোজমি আবাদ করা হয়েছে।

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com