স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট বলেছেন, হাসন রাজা কারো ব্যক্তিগত স¤পদ নয়, হাসন রাজা সুনামগঞ্জ তথা সারা বাংলাদেশের স¤পদ। তাই হাসন রাজাকে নিয়ে দ্বিধা না করে আমাদের জেলা প্রশাসক যে প্রস্তাব দিয়েছেন একটি অস্থায়ী হাসন রাজা মিউজিয়াম তৈরির সেটিতে আপনারা রাজি হয়ে যান। এক্ষেত্রে জেলা পরিষদের কোনো সাহায্য লাগলে সেটি আমরা করব। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করতে চাই হাসনরাজাকে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব বন্ধ করেন। হাসন রাজাকে সবার মধ্যে বিলিয়ে দেন, সবার উদ্যোগে সবার অংশগ্রহণে সুনামগঞ্জে আমরা বড় করে আমরা হাসন উৎসব পালন করব।
শুক্রবার রাতে সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে হাসন রাজা পরিষদের আয়োজনে হাসন রাজার মৃত্যুশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসন রাজা পরিষদের সাধারণ স¤পাদক দেওয়ান তাছাদ্দুক রাজা ইমনের পরিচালনায় ও হাসন রাজা পরিষদের সভাপতি ও হাসন গবেষক সামারীন দেওয়ানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রজত কান্তি সোম, দৈনিক সুনামগঞ্জের ডাক সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক রেজিস্ট্রার জামিল চৌধুরী, সাবেক লে. কর্নেল আতাউর রহমান পীর, সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ স¤পাদক শামছুল আবেদীন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আকিকুর রহমান, প্রদীপ পাল নিতাই, হাসন রাজা পরিষদের সহ-সভাপতি অ্যাড. মলয় চক্রবর্তী রাজু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে হাসন রাজার উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রভাষক রওশন আলম।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী মরমী কবি হাসন রাজাকে পারিবারিক সমস্যার অবসান এবং হাসন রাজা মিউজিয়ামটি করতে চাইলে সরকারের কাছে হস্তান্তর করার আহ্বান জানান। এরকম হলে সুনামগঞ্জ পুরাতন কালেক্টরেট ভবনেই অস্থায়ীভাবে হাসন রাজা মিউজিয়ামটি পুনরায় শুরু করার আশ্বাস প্রদান করেন।
আলোচনা সভা শেষে অতিথি ও স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে হাসনরাজার গান পরিবেশন করা হয়।