জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া ::
তাহিরপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ শনির হাওরে কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের তোয়াক্কা না করে এস্কেভেটর দিয়ে ফসলি জমি থেকে বেপরোয়াভাবে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এতে একদিকে যেমন ফসলি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব এবং হাওরের ভেতর মাটির তৈরি রাস্তাগুলো (জাঙ্গাল) হুমকিতে পড়েছে।
অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনে জড়িত কেউ জনপ্রতিনিধি আবার কেউ সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থাকায় তাদের এই অপকর্মে বাধা দিতে কেউ সাহস পাচ্ছে না। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
হাওরপাড়ের কৃষকরা জানিয়েছেন, এস্কেভেটর দিয়ে ফসলী জমির মাটিকাটার কারণে কৃষি জমিগুলো পরিণত হচ্ছে পুকুর-ডোবায়। মাটি পরিবহনে ভারি ট্রাক ও মাহেন্দ্র ট্রলি ব্যবহারে ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কগুলো হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শনির হাওরে থেকে মাহিন্দ্রা ট্রাকে মাটি পরিবহন করায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাহিরপুর বালিকা বিদ্যালয় এবং উপজেলা চত্বর ও অফিসপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তায় ধুলার কুয়াশায় ঢেকে গেছে। এতে করে এই এলাকা দিয়ে যাতায়াতে নানা মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ধুলার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
উজান তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্দা বারিক মিয়া বলেন, এক ফসলি জমি থেকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে ধুলাবালিতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারেনা ধুলার কারণে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। আর কিছু ব্যবসায়ী তাদের মুনাফা লাভের জন্য ট্রাক এবং মাহেন্দ্র ট্রলি চালিয়ে সড়ককে ধ্বংস করছে। আমরা এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনি বলেন, স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে মাটি উত্তোলনের বিষয়টি শুনেছি, এ বিষয়ে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।