স্টাফ রিপোর্টার::
জামালগঞ্জ উপজেলায় অটো রাইসমিলের টেবিল ক্যাশ ভেঙে টাকা চুরির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃত ৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ১ মার্চ সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিরা হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ১ নং বেহেলী ইউনিয়নের নতুন মশালঘাট গ্রামে চুরির এই ঘটনায় মো. আবু সামার ছেলে মো. হাসান বাদী হয়ে থানায় ৪ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে জিয়াউল হককে মামলার বাদীসহ গ্রামবাসী আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় দেয়া হয়। পরে সকালে ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সামন্ত সরকার ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেলে সেখানে সালিশ বৈঠকে আটক জিয়াউল হক এই ঘটনায় আরও তিনজন জড়িত বলে জানায়। চুরির ঘটনায় অপর অভিযুক্তরা হলেন বেহেলী ইউপির ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে কামাল মিয়া, মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী, মৃত মজিদ মিয়ার ছেলে গোলাফ মিয়া।
গ্রামবাসী জানান, সালিশ বৈঠকে অভিযুক্তরা চুরির ঘটনা স্বীকার করে টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত দেই দিচ্ছি করে টালবাহানা শুরু করলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জামালগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। পরে অভিযুক্ত জিয়াউল হককে পুলিশ আটক করে কোর্টে চালান দেয়। গত ১ মার্চ অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের মশলঘাট পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আবু সামার ছেলে হাসানের অটো রাইসমিলের গেইট এবং স্টিলের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। পরে মিলের টেবিল ক্যাশে রাখা ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাৎক্ষণিক জিয়াউল হক নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে আটক ওই ব্যক্তি আরও তিনজনসহ চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
বেহেলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত সামন্ত সরকার বলেন, চুরির ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গ্রামের মুরুব্বিগণ আমাকে মোবাইলফোনে জানালে আমি গ্রামপুলিশসহ ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিম্মায় দেয়ার কথা বলি। গ্রামের মুরুব্বিগণ সালিশ বৈঠকে কোনো সমাধান করতে না পেরে আটক ব্যক্তিকে পুলিশের জিম্মায় দিয়ে দেন।
জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের জানান, চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করে কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে। বাকি তিন আসামি কোর্টে হাজির হলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। পুলিশ ৪ আসামির রিমান্ডের আবেদন করেছে।