জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের বড়ফেছি গ্রামে একটি রাস্তার অভাবে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ নানা ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছিলেন। এই জনভোগান্তি লাঘবে এখানে একটি রাস্তার প্রকল্প পেতে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আকমল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন করেন বড়ফেছি গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য ও আশারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক শাহ খায়রুল ইসলাম। অবশেষে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের প্রচেষ্টায় ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের আন্তরিকতায় জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) এর মাধ্যমে ২ লাখ টাকা ব্যয়ে বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। শাহ খায়রুল ইসলামকে সভাপতি ও ছুরত মিয়াকে সদস্য সচিব করে কাবিটা কর্মসূচির মাধ্যমে বড়ফেছি গ্রামের মাজার গেইট থেকে মফিজ মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত ১৯০০ ফুট মাটির কাচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তায় মাটি কাটার কাজ শেষ হয়েছে। নতুন রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসী চলাচল করছেন। এ সময় গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি মফিজ মিয়া, ইউনুছ মিয়া ও সমাজকর্মী সাইদুল ইসলামসহ পথচারীরা বলেন, গ্রামে নতুন রাস্তা হওয়ায় আমরা খুব আনন্দিত। দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে রক্ষা হয়েছে। তবে এ রাস্তার আরেকটি অংশ এখনো বাকি রয়ে গেছে। মফিজ মিয়ার বাড়ি থেকে বড়ফেছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত আরো প্রায় ২০০০ ফুট রাস্তা ও রাস্তায় একটি ছোট বক্স কালভার্ট হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। কালভার্ট না থাকায় পুরনো বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসী চলাচল করছেন। তাই জরুরিভিত্তিতে কালভার্টসহ বাকি রাস্তা নির্মাণ করতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য ও আশারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক শাহ খায়রুল ইসলাম বলেন, এখানে রাস্তা নির্মাণের মূল কারিগর পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাঁদের প্রচেষ্টায় রাস্তা হওয়ায় গ্রামবাসী উপকৃত হয়েছেন। তবে এ রাস্তার আরেকটি অংশ বাকি আছে। ছোট বক্স কালভার্টসহ আরেকটি প্রকল্প হলেই আমরা গ্রামবাসী চলাচলের কোন সমস্যা থাকবে না।
এছাড়া এ রাস্তা নির্মাণ করতে নিজ জমি থেকে মাটি আনার সুযোগ দেয়া সহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেন প্রবাসী সুফি মিয়া, গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি ইলিয়াছ মিয়া, গ্রামের মুজিবুর রহমান মুরাদ, ইয়াওর মিয়া, প্রবাসী মোহাম্মদ আলী খলকু, গ্রামের আনহার মিয়া, আখলুছ মিয়া, শায়েস্তা মিয়া, হাফিজ আবদুন নুর, আবদুল মোমিন, আবদুর রউফ, খেলন মিয়া, প্রবাসী ফুলকাছ মিয়া, প্রবাসী ইকবাল মিয়া, গ্রামের রফু মিয়া, হাজী ছুবা মিয়া, প্রবাসী হাফিজ আবদুল হক, গ্রামের লকুছ মিয়া, ফুলুক মিয়া, প্রবাসী নুরুল হক, গ্রামের আবদুল হক, সাজান মিয়া, ছানাউর রহমান, মতিউর রহমান, ফারুক হোসেন, শাহিনুর রহমান প্রমুখ।