বাদলকৃষ্ণ দাস ::
জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের হটামারা গ্রামে আগুন লেগে অন্তত ৩৮ কৃষকের ঘর ভস্মিভূত হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর প্রায় ১টায় ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. আমিন মিয়ার ঘর থেকে বৈদ্যুতিক লাইনের সটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারগুলোর প্রাথমিক ধারণা।
দুপুরে আগুনের সূত্রপাতেই হঠামারা গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা চিৎকার শুরু করে। এরপর আশপাশে থাকা কিছু লোক দৌড়ে এসে আগুন নেভানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেন। এ সময় ধীরে ধীরে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে থাকে। ঘটনাকালে গ্রামের বেশীর ভাগ পুরুষ বোরো জমিতে কাজ করছিলেন। পরে কৃষকরা তাদের গ্রামে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে দ্রুত বাড়িতে ফিরে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হন। গ্রামটি খুব ঘনবসতি হওয়ায় আগুন লাগার পর দ্রুত প্রতিবেশীদের ঘরে ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই গ্রামে যেতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় জেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কোন দল সেখানে পৌঁছতে পারেনি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন, আমিন মিয়া, সোহেল মিয়া, শামসুল আলম, জাহির মিয়া, মুন্নাফ মিয়া, অরুণা বেগম, রব্বানী মিয়া, আলমগীর, রাজা মিয়া, মস্কুর মিয়া, হালান মিয়া, নুরজাহান, সালেক মিয়া, মুতুল্লির বউ, নজরুল, ইসানুর, জহিরুল ইসলাম, হরজুল, সায়েদ, আমিরুল, রোকশানা, বকুল মেম্বার, নুরজালাল মাস্টার, দুলাল, আলমগীরসহ আরো অনেকে।
এঘটনার খবর পেয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত দেব ছুটে যান হঠামারা গ্রামে। তিনি জানান, গ্রামবাসীদের ভাষ্য মতে ৩৮টি ঘর পুড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এতে প্রায় ৬০-৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিরূপণ করে তাদেরকে ঘর মেরামতের জন্য টিনসহ প্রয়োজনীয় জিনিস সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে।