স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ শহরের মধ্যবাজারে ভাড়াটিয়া নন্দন রায় ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন ঘরের মালিক মাধব চন্দ্র বণিক ও তার স্ত্রী লিজা বণিক। সোমবার বিকেলে মধ্যবাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এই অভিযোগ তুলে ধরা হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নন্দন রায়।
সংবাদ সম্মেলনে মাধবচন্দ্র বণিক জানান, তার বড় ভাই সুজিত বণিকসহ দুই ভাই প্রগতি-৩৯ মধ্যবাজার সুনামগঞ্জে বসবাস করে আসছেন। প্রায় দেড় বছর আগে তার ভাই সুজিত বণিক তাঁর ঘরের একটি অংশ পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা নন্দন রায়ের কাছে ভাড়া দিয়া অন্যত্র বসবাস করছেন। নন্দন রায় বৈদ্যুতিক মালামাল রাখার গুদাম হিসেবে ঘরের অংশটি ব্যবহার করে আসছেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভাড়াটিয়া নন্দন রায় ও তার সহযোগীরা মিলে ঘরটি ভাংচুর করে আমার বসতঘর থেকে বিচ্ছিন্ন করে। এ সময় আমার বসতঘরে থাকা মূল্যবান স¤পদ তামাকাসা, বাসনপত্র, স্বর্ণালংকার, নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ওইদিন ঘরের মালিক ও তার স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। ওইদিন রাত ১০টায় বাসায় ফিরে দেখেন তার বড় ভাইয়ের ঘর ভাংচুর করা হয়েছে এবং তার ঘরের মূল্যবান স¤পদ স্বর্ণাংলকার ও নগদ টাকা লুট করা হয়েছে। তিনি জানান, এই বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আশপাশের লোকজনকে জানানো হয়। তখন স্থানীয়রা বিষয়টি নি®পত্তি করবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করেন। কয়েকদিন অপেক্ষার পর তিনি সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তখন সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার এক পর্যায়ে সৃষ্ট ঘটনার মীমাংসার জন্য আবারও স্থানীয়রা উদ্যোগ নেন। কিন্তু অদ্যাবধি ঘটনার কোন নি®পত্তি হয়নি।
তিনি আরও জানান, ভাড়াটিয়া নন্দন রায় ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তাই জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।
অভিযোগের ব্যাপারে নন্দন রায় বলেন, মাধব চন্দ্র বণিকের বড় ভাই সুজিত বণিকের কাছ থেকে ঘর কিনেছি। এখন ঘরের টিন নষ্ট হওয়ায় বদল করতে মাধব চন্দ্র বণিককেও অবগত করি। এখন সে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এটা খুবই নিন্দনীয়।
৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লোহ বলেন, এই ঘটনার নি®পত্তির জন্য একবার মানুষজন নিয়ে বসেছি। কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় পরবর্তীতে বসার কথা ছিল।
সদর মডেল থানার তদন্তকারী এস.আই আবির দাস বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ সময় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নি®পত্তি করবেন বলে সময় দিয়ে এসেছি। নি®পত্তি না হওয়ায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।