স্টাফ রিপোর্টার ::
নাব্যতা সংকটে মধ্যনগর উপজেলার প্রধান নদী সোমেশ্বরী মরতে বসেছে। নদীর বুকে জেগে উঠছে চর। ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল, বিঘিœত হচ্ছে চাষাবাদ। পাশাপাশি চলছে নদী দখল। এ অবস্থায় দ্রুত নদীটি খননের মাধ্যমে এর প্রাণ বাঁচানোর দাবি জানিয়েছেন মধ্যনগরবাসী।
স্থানীয়রা জানান, সোমেশ্বরী অনেক স্থানে প্রায় শুকিয়ে গেছে। এছাড়া শাখা নদী উবদাখালি ও মনাইয়ের অবস্থাও করুণ। নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে নৌযান চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। এছাড়া নদী থেকে পর্যাপ্ত পানি না পেয়ে জমিতে সেচ দিতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ।
মধ্যনগর ইউনিয়নের কৃষক জমির হোসেন বলেন, নদীতে আর আগের মতো পানি নাই। নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা ঠিকমতো জমিতে সেচ দিতে পারি না। এতে চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই নদীটি দ্রুত খনন করা প্রয়োজন।
ইঞ্জিনচালিত নৌকার মাঝি আবুল কালাম বলেন, সোমেশ্বরী নদীতে পানি কমে যাওয়ার কারণে নৌযান চলাচল চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। নদীর বিভিন্ন অংশে চর জেগেছে। কখন কোন জায়গায় নৌকা নিয়ে আটকা পড়ে তার ঠিক নেই। দ্রুত নদীটি খনন করা না হলে আমরা পণ্য পরিবহন করতে পারবো না।
শাজদাপুর গ্রামের বাসিন্দা মাইনুল হক বলেন, নাবীতা সংকটে সোমেশ্বরী ধুঁকে ধুঁকে মরছে। নদীটি দ্রুত খনন করে এর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মধ্যনগর আড়ৎ কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহিরুল হক বলেন, নদী দিন দিন ভরাট হয়ে যাওয়ায় আমাদের মধ্যনগরের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। দ্রুত নদীটি খনন করতে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, মধ্যনগর উপজেলার নদীগুলো দিন দিন নাব্যতা হারিয়ে ফেলছে। এগুলো খনন করা অতীব জরুরি। নদীগুলো দ্রুত খননের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি প্রেরণ করবো।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, জেলার ১৪টি নদী খননের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হওয়ার পরপরই সোমেশ্বরীসহ এর শাখা নদীগুলোর খননকাজ শুরু করা হবে।