মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্ ::
গেলো বছরের অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ পাঁচ মাস অপেক্ষার পর গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বৃষ্টিতে ভিজেছে হাওরজেলা সুনামগঞ্জ। ফলে কৃষকের মনে কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে। তারা মনে করছেন এ বৃষ্টি বোরো ফসলের জন্য আশীর্বাদ। এ বৃষ্টির ফলে বোরোর ফলন বেশি হবে বলে তারা জানিয়েছেন। বুধবার সকালে জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জেলার একমাত্র বোরো ফসল অতিমাত্রায় সেচ নির্ভর হয়ে পড়ে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। ফাগুনের প্রথম বৃষ্টিপাত কৃষকের কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে। এছাড়াও টানা কয়েক মাস বৃষ্টি না হওয়ার কারণে রাস্তাঘাট ধুলোবালিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে সুনামগঞ্জের আকাশ ছিল কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন। সূর্যের কড়া আলোর দেখা মেলেনি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। বুধবার সকালে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে থাকে। এক পর্যায়ে হালকা বৃষ্টি হয়। প্রায় এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জ বিভিন্ন নিচু এলাকায় পানি জমেছিল, তবে জলাবদ্ধতা হয়নি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, এ বৃষ্টি ধানের জন্য খুব উপকারি। পানির ছোঁয়া পেয়ে ধানের চারা দ্রুত বড় হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সকালে সুনামগঞ্জের বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। এখনও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। আগামীকালও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সুনামগঞ্জে কৃষকদের জন্য এ বৃষ্টি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ স্বরূপ ছিল।