স্টাফ রিপোর্টার ::
মরমী কবি হাছন রাজার মৃত্যুশত বার্ষিকী ও ১৬৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
হাছন রাজা ট্রাস্টের সভাপতি দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, স্থানীয় সরকার সুনামগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, কবি নাসরিন আবেদীন, হাছন রাজার প্রপৌত্র দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, হাছন রাজার নাতি দেওয়ান ইসকন্দর রাজা চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী, আশিক, সাংবাদিক অ্যাডভোকেট খলিল রহমান প্রমুখ।
দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন বলেন, সুনামগঞ্জে হাছন রাজা অযতেœ অবহেলায় রয়েছেন। অথচ দেশ-বিদেশে হাছন রাজার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তাঁর সৃষ্টিকর্মের প্রতি আরও সচেতন হওয়া দরকার। হাছন রাজার স্মৃতিকে জাগ্রত রাখার জন্য সরকারি সহায়তায় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানাই।
স্থানীয় সরকার সুনামগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, হাছন রাজার জীবন দর্শন হলো অহংকার, দুনিয়াদারি ও লোভ ছাড়তে হবে। হাছন রাজার দর্শনকে তোলে ধরে সুনামগঞ্জকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নেয়া যেতে পারে। এজন্য সাংস্কৃতিকর্মী, রাজনীতিবিদসহ সুনামগঞ্জবাসীকে এগিয়ে আসা উচিত।
কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী বলেন, হাছন রাজার গান ও জীবন দর্শন নিয়ে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অনেক পরিকল্পনা ছিল। তিনি হাছন রাজার গানকে নাটকসহ মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘হাছন রাজা’ মুভিতে কাহিনী বিকৃত করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় কাজ। সুনামগঞ্জ সাহিত্যের উর্বর মাটি। এখানে হাছন রাজা, বাউল স¤্রাট শাহ আব্দুল করিম, রাধারমণ ও দুর্বীন শাহসহ অসংখ্য গুণী কবি সাধক জন্মগ্রহণ করেছেন। হাছন রাজা উৎসব আবার জাগ্রত হোক।
পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, মরমী কবি ও সাধক হাছন রাজার বিশ্বব্যাপী পরিচিতি রয়েছে। আমরা হাছন রাজার দেশের লোক হিসেবে গৌরববোধ করি। তিনি শুধু সুনামগঞ্জের নয় সারা বাংলাদেশের স¤পদ। তাঁর সৃষ্টিকর্মকে আরও ব্যাপকভাবে আমাদের তুলে ধরা উচিত। সুনামগঞ্জে হাছন রাজা একাডেমি হোক এটা আমাদের সবার দাবি।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, মরমী কবি হাছন রাজা সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। তিনি হাজারের উপরে গান লিখে পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর গানে অসাম্প্রদায়িকতা ফুটে উঠেছে। আপনাদের মধ্যে যদি মতবিরোধ থাকে মিটিয়ে আসতে পারলে সবগুলো দাবি পূরণ হয়া সম্ভব। হাছন রাজা বেঁচে থাকবেন তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে। আপনারা সহযোগিতা করলে সামনে আরও বড় অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব।
আলোচনা সভা শেষে হাছন রাজার গান, নৃত্যসহ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী, আশিকসহ স্থানীয় শিল্পীরা। এছাড়া নৃত্যও পরিবেশিত হয়।
মরমী কবি হাছন রাজার মৃত্যুশত বার্ষিকী ও ১৬৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
স্টাফ রিপোর্টার ::
মরমী কবি হাছন রাজার মৃত্যুশত বার্ষিকী ও ১৬৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
হাছন রাজা ট্রাস্টের সভাপতি দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, স্থানীয় সরকার সুনামগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, কবি নাসরিন আবেদীন, হাছন রাজার প্রপৌত্র দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, হাছন রাজার নাতি দেওয়ান ইসকন্দর রাজা চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী, আশিক, সাংবাদিক অ্যাডভোকেট খলিল রহমান প্রমুখ।
দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন বলেন, সুনামগঞ্জে হাছন রাজা অযতেœ অবহেলায় রয়েছেন। অথচ দেশ-বিদেশে হাছন রাজার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তাঁর সৃষ্টিকর্মের প্রতি আরও সচেতন হওয়া দরকার। হাছন রাজার স্মৃতিকে জাগ্রত রাখার জন্য সরকারি সহায়তায় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানাই।
স্থানীয় সরকার সুনামগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, হাছন রাজার জীবন দর্শন হলো অহংকার, দুনিয়াদারি ও লোভ ছাড়তে হবে। হাছন রাজার দর্শনকে তোলে ধরে সুনামগঞ্জকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নেয়া যেতে পারে। এজন্য সাংস্কৃতিকর্মী, রাজনীতিবিদসহ সুনামগঞ্জবাসীকে এগিয়ে আসা উচিত।
কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী বলেন, হাছন রাজার গান ও জীবন দর্শন নিয়ে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অনেক পরিকল্পনা ছিল। তিনি হাছন রাজার গানকে নাটকসহ মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘হাছন রাজা’ মুভিতে কাহিনী বিকৃত করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় কাজ। সুনামগঞ্জ সাহিত্যের উর্বর মাটি। এখানে হাছন রাজা, বাউল স¤্রাট শাহ আব্দুল করিম, রাধারমণ ও দুর্বীন শাহসহ অসংখ্য গুণী কবি সাধক জন্মগ্রহণ করেছেন। হাছন রাজা উৎসব আবার জাগ্রত হোক।
পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, মরমী কবি ও সাধক হাছন রাজার বিশ্বব্যাপী পরিচিতি রয়েছে। আমরা হাছন রাজার দেশের লোক হিসেবে গৌরববোধ করি। তিনি শুধু সুনামগঞ্জের নয় সারা বাংলাদেশের স¤পদ। তাঁর সৃষ্টিকর্মকে আরও ব্যাপকভাবে আমাদের তুলে ধরা উচিত। সুনামগঞ্জে হাছন রাজা একাডেমি হোক এটা আমাদের সবার দাবি।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, মরমী কবি হাছন রাজা সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। তিনি হাজারের উপরে গান লিখে পরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর গানে অসাম্প্রদায়িকতা ফুটে উঠেছে। আপনাদের মধ্যে যদি মতবিরোধ থাকে মিটিয়ে আসতে পারলে সবগুলো দাবি পূরণ হয়া সম্ভব। হাছন রাজা বেঁচে থাকবেন তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে। আপনারা সহযোগিতা করলে সামনে আরও বড় অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব।
আলোচনা সভা শেষে হাছন রাজার গান, নৃত্যসহ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী, আশিকসহ স্থানীয় শিল্পীরা। এছাড়া নৃত্যও পরিবেশিত হয়।