1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বড়পাড়ায় রিকসা চালকের আত্মহত্যা

  • আপডেট সময় সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার ::
পারিবারিক বিরোধের জেরে তিন সন্তান ফেলে বাপের বাড়িতে স্ত্রী চলে যাওয়ার অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক রিকসা চালক আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার বিকাল ৫টার দিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বড়পাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। রিকসা চালক আক্তার হোসেন (৩২) এলাকার নূর হোসেনের বড় ছেলে।
জানা যায়, আক্তার হোসেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বড়পাড়া এলাকার বাসিনা আবুল বাশারের টিন সেডের ঘরে ভাড়া থাকতেন। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সাথে প্রায়ই তার ঝগড়া হতো। ২৩ দিন পূর্বে পারিবারিক বিরোধের কারণে স্ত্রী ৩ সন্তানকে রেখে বাপের বাড়ি তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট এলাকায় চলে যায়। এরপর থেকে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার অনেক চেষ্টা করলেও ফিরে আসেননি। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর আক্তারের তিন সন্তান বড়পাড়া এলাকায় দাদা নূর হোসেনের কাছেই থাকতো।
স্থানীয়রা জানান, অন্যান্য দিনের মতো রিকসা চালানোর পর বিকালে বাসায় ফিরে আসে আক্তার। বিকেলে তার ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকা ছিল। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিবারের লোকজন তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় ঘরের তীরের সাথে আক্তারের মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখা যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
আক্তার হোসেনের পিতা নূর হোসেন বলেন, আমার ছেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতো। অভাব অনটনের ঘর। বউয়ের সাথে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। ২৩ দিন হলো ছোট ছোট তিন বাচ্চা রেখে বাপের বাড়িতে চলে গেছে তার স্ত্রী। বউকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করেছে, আসেনি। দুইদিন আগে বউয়ের সাথে কথা হইছে। ফিরে না আসলে সে মরে যাবে বলে কান্নাকাটি করেছে। আজ সত্যিই সে আত্মহত্যা করলো।
সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই সাব্বির আহমেদ বলেন, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করে সদর থানান মর্গে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com