1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

একটি ইস্যুর আশায় বিএনপি

  • আপডেট সময় সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বড় কোনো ইস্যু হাতছাড়া করতে চায় না বিএনপি। বিশেষ করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে বেশ মনোযোগ দেবে দলটি। এ জন্য জনস¤পৃক্ত বিষয়ে কর্মসূচির ধারাবাহিকতা রাখতে চায় তারা। বিএনপি নেতারা বলছেন- কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের মতো বৃহৎ সামাজিক আন্দোলনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। যেখানে ছাত্র, শিক্ষক ও তরুণসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে মাঠে নামানো সম্ভব হবে। আর তাই আন্দোলনের রোডম্যাপ থাকলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো সময় চূড়ান্ত আন্দোলন দানা বাঁধতে পারে। এ জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণের অপেক্ষার প্রয়োজন হবে না।
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রের এমন ভিন্নধর্মী নতুন চিন্তা সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারাও এটি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। দলের স্থায়ী কমিটির একজন সিনিয়র সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিবেশী দেশের বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের ধরন রপ্ত করার চেষ্টা করছে বিএনপি। এতে চূড়ান্ত সফলতা পাওয়া সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করছি। যুগপৎ আন্দোলনে শরিকরাও একই মতামত দিচ্ছেন।
তিনি জানান, বিএনপি আন্দোলন নিয়ে দুই ধরনের পরিকল্পনা করছে। একটি বিকল্প হিসেবে রাখবে। আরেকটি মাঠে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। পরিস্থিতিভেদে ‘বি প্লান’ ফর্মুলা কাজে লাগানো হবে।
সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএনপি তাদের আন্দোলনের রোডম্যাপ ঠিক করলেও তা প্রকাশ করতে নারাজ। আন্দোলনের পরিকল্পনা আগে থেকে জেনে গেলে সরকারবিরোধী দলেরও ওপর চূড়ান্ত ক্র্যাকডাউন চালাবে। নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হবে। ১০ ডিসেম্বরের মতো ভুল আর করা হবে না। এ জন্য নেতাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে আগ বাড়িয়ে আন্দোলনের দিনক্ষণ ও প্যাটার্ন বলে না দেয়। নতুন কর্মসূচির খবর শরিকদেরও জানানো হবে ঘোষণার আগের দিন রাতে কিংবা ঘোষণার দিনে সকালে। প্রস্তুতি থাকবে স্বল্প সময়ের মধ্যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার।
বৈঠকে একজন নেতা বলেন, আমাদের সময় খুবই কম। যেকোনো মূল্যে আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। এবার যদি বড় কোনো ভুল না করি তাহলে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। রাজনৈতিক ইস্যুর বাইরে মানুষের ভেতরের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চূড়ান্ত আন্দোলন তো বলে-কয়ে হয় না। দিনক্ষণ দিয়ে সম্ভব নয়। জনগণ ক্রমেই ফুঁসে ওঠছে। দাবানল যেকোনো মুহূর্তে জ্বলে ওঠতে পারে। সরকারের মনোভাবের সঙ্গে আন্দোলনের গতি- প্রকৃতিও বদলাবে এটিই স্বাভাবিক।
স্থায়ী কমিটির আরেক নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকারি দল বিভিন্ন ফাঁদ পাতছে। এসব ফাঁদে পা দেব না আমরা। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যেতে চাই। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ জনস¤পৃক্ত কর্মসূচি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ইন ফ্যাক্ট এখন জনগণ বেরিয়ে আসছে। জনগণের চাহিদা অনুয়ায়ী কর্মসূচির ধরণ বদলাবে। জনগণ চাইলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। অন্যদিকে যুগপৎ আন্দোলনে শরিকরাও একই কথা বলছেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার বিরোধীদের দমনে সব হাতিয়ার প্রস্তুত রেখেছে। আমরা কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিলেই তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে। এ জন্য আন্দোলনের রোডম্যাপ জানানো যাবে না। কখন কী পরিকল্পনা তা খুবই সীমাবদ্ধ থাকবে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। তবে আমরা এখন আর্থ-সামাজিক আন্দোলনে গুরুত্ব দিচ্ছি। সাধারণ মানুষের ভাষা অনুয়ায়ী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, এবার কোনো ঈদ, পূজা-পার্বণ, গরম, শীত কিংবা বাদল মৌসুমকে সামনে রেখে আন্দোলন হবে না। সামনের ঈদ আছে এটি বুঝতেই দেওয়া হবে না। মানে দুই কর্মসূচির মধ্যে ঈদের বিরতি রাখা হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, আন্দোলন তো অনেক হয়েছে। এখন ভিন্ন আবহ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। কারণ পরিস্থিতি ও মানুষের চিন্তা-চেতনা প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। আগের আন্দোলন আর বর্তমান আন্দোলন এক নয়। সামাজিক নানা বাস্তবতা সামনে রেখে রাজনৈতিক পরিকল্পনা সাজাতে হবে। মানুষ প্রতিদিন রাজপথে আসবে না। বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেই তারা স¤পৃক্ত হবে। আমরা সে লক্ষ্যে ছাত্র-তরুণসহ সমাজের নানা পেশার মানুষের চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি তানিয়া রব জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক আছে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে। ইতিমধ্যে শরিকদের সমন্বয়ে যুগপৎ আন্দোলনের সাত দফা যৌথ রূপরেখা ঠিক করা হয়েছে। তা চলতি মাসের শেষদিকে ঘোষণা করা হতে পারে। এরপর থেকে যুগপৎ শরিকদের নিয়ে যৌথ কর্মসূচি দেওয়া হবে। যৌথভাবে জেলা সফর ও অবস্থান কর্মসূচিও আসতে পারে এই মাসের শেষ দিকে। -সময়ের আলো

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com