জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুরে জমির মালিকদের আপত্তিতে আটকে থাকা সেই প্রকল্পের কাজ অবশেষে শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ২ মাস পর আটকে থাকা হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধের এ অংশের কাজ শুরু হওয়ায় কৃষকসহ জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এবার দ্রুত সময়ের মধ্যে সঠিক মানের কাজ চান স্থানীয়রা।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলা পাইলগাঁও ইউনিয়নের অলইতলি গ্রাম এলাকায় প্রতি বছর বাঁধ নির্মাণ করা হলেও বর্ষায় কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে ভেঙে যায়। তাই এবার একটু সরিয়ে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কুশিয়ারা নদীতীর এলাকা থেকে জমির উপর দিয়ে ৪১নং প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন বাঁধ নির্মাণ করতে গেলে জমির মালিকদের বাধার মুখে কাজ শুরু হয়নি। এতে স্থানীয় জনমনে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলোআপ করে সংবাদও ছাপা হয়।
অবশেষে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হওয়ায় এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আপত্তির কারণে দীর্ঘ ২ মাস পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, আটকে থাকা সেই ৪১নং প্রকল্পে মাটিকাটার কাজ চলছে।
এ বিষয়ে ৪১নং পিআইসি কমিটির সভাপতি হাজী সুন্দর উদ্দিন বলেন, প্রথমে জমির মালিকদের আপত্তির কারণে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হওয়ায় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ চলছে। এখন একটু সরিয়ে আমার অধিকাংশ জমির উপর দিয়ে বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। মেঘ-বৃষ্টি হওয়ার আগে আমরা কাজ শেষ করতে চাই। তাই দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।
এদিকে, এ প্রকল্পের কাছেই কুশিয়ারা নদীতীরে ছিল স্থানীয় অলইতলি-পূর্ব জালালপুর গ্রামের রাস্তা। এবারের বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ রাস্তায় বর্তমানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখন হেমন্ত মৌসুম হওয়ায় হেঁটে অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে মানুষ চলাচল করছেন। তবে বর্ষা মৌসুমে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তবে এখানে বাঁধ নির্মাণ হলে ফসল রক্ষার পাশাপাশি এ বাঁধ দিয়ে মানুষ চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান। তাই এখানে বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় স্থানীয় কৃষকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে রীতিমতো স্বস্তি বিরাজ করছে।