স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওর অন্তর্গত চাটনি বিল জলমহালের ইজারা পেতে তড়িঘড়ি বিলের পাশে পাহারা চৌকিসহ অফিস ঘর নির্মাণ করছেন এক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির লোকেরা। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বরাবরে এমনই অভিযোগ করেছেন অপর এক মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ স¤পাদক মো. মমিন মিয়া।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, স¤প্রতি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে চাটনি বিল জলমহালের ইজারা দরপত্র আহ্বান করা হলে জলমহাল নিকটবর্তী দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর নতুনপাড়া (চাটনিপাড়া) মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি এবং চাটনিপাড়া হকিয়ার ডুবিপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি উভয়েই দরপত্রে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু দরপত্র আহ্বানের আগে চাটনিপাড়া হকিয়ার ডুবিপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অফিস উল্লেখিত জলমহাল থেকে দূরবর্তী স্থানে থাকলেও দরপত্র আহ্বানের পরপরই জলমহাল নীতিমালা ভঙ্গ করে ওই সমিতির সভাপতি আজিবুর রহমান বিলের পাশের জমিতে নতুন করে অফিসঘর নির্মাণ শুরু করেন। অভিযোগকারীর দাবি, এটা জলমহালের নীতিমালা পরিপন্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবছর জলমহালের নিকটবর্তী একাধিক সমিতি দরপত্রে অংশগ্রহণ করায় পূর্বের ইজারাপ্রাপ্ত চাটনিপাড়া হকিয়ার ডুবিপাড়া মৎস্যজীবী সমিতির মাঝে অস্বস্তি ও অস্থিরতা দেখা দেয়। তাদের ইজারাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সমিতির সভাপতি আজিবুর রহমান এক রকম মরিয়া হয়ে উঠেন এবং চাটনি বিলের পাশে খাস জমিতে তড়িঘড়ি অফিস ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এনিয়ে অন্য সমিতি সমূহের সদস্যরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
একাধিক সমিতির লোকেরা বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, জলমহালের ইজারা পাবার আগেই ইজারাদারের ভূমিকায় স্থাপনা নির্মাণ করার রহস্য কারো বোধগম্য নয়। সমবায় সমিতির ইজারা প্রাপ্তির প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে এরকম অগ্রিম তৎপরতা একটা বিতর্কিত বিষয়।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব জানান, অভিযোগটি তদন্তের জন্য আমরা কমিটিকে দিয়েছি। কমিটি সেটি দেখবে।