শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ৯১টি ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর অনুকূলে ১৭ কোটি ৫ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাঁধের কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাঁধের কাজ স¤পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কাবিটা স্কিম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ৯১টি প্রকল্পের সার্বিক বিবেচনায় মাটির কাজ প্রায় ৬৫ ভাগ স¤পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই উপজেলার প্রতিটি প্রকল্পের কাজ স¤পন্ন করতে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে। তবে পিআইসি কমিটির লোকজন অর্থ সংকটেও ভোগছেন, তাদের কাজ অনুযায়ী আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ২য় কিস্তির টাকা ছাড় দেয়া হবে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে, উপজেলা কাবিটা স্কিম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার উজ জামানের সভাপতিত্বে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহাইল হায়দার, মৎস্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আতাউর রহমান, পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান রাইজুল ইসলাম, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন, পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া, পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কাবিটা স্কিম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির সভাপতি আনোয়ার উজ জামান বলেন, আমাদের উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯১টি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। শুরু থেকেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সহিত প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে প্রকৃত কৃষকদের নিয়ে গণশুনানি করে পিআইসি গঠন করেছি। দিন রাত আমাদের মনিটরিং টিম বাঁধে কাজ করছেন। এই পর্যন্ত আমাদের প্রায় ৬৫ ভাগ মাটির কাজ স¤পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ স¤পন্ন করতে আমাদের যা যা করা প্রয়োজন আমরা করবো। বাঁধের কাজে অনিয়ম হলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। অনিয়ম হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আমরা ৪টি পিআইসির সভাপতিকে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।