স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জ মিছিলের শহরে পরিণত হয়। শনিবার বেলা ১১টা থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মিছিলের সংখ্যা ও নেতাকর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে শহরে। পৌর শহর ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন সম্মেলনস্থলে।
এদিকে, শহর ও সদর উপজেলা এবং বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা নূরুল হুদা মুকুটের সমর্থনে দলে দলে মিছিল নিয়ে হাজির হন সম্মেলনস্থলে। পৌর মেয়র নাদের বখতের নেতৃত্বে এবং নোমান বখত পলিনের সমর্থকদের খ- খ- মিছিল অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হতে দেখা গেছে। এছাড়া সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের সমর্থনে ছাতক-দোয়ারার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে সমবেত হন।
অপরদিকে, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সমর্থনে সুনামগঞ্জ-১ আসনের ধর্মপাশা, মধ্যনগর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ উপজেলা থেকে পৃথক পৃথক মিছিলে শহর প্রদক্ষিণ করে সম্মেলনে অংশ নেন নেতাকর্মীরা। একটি মিছিলের নেতৃত্ব দেন ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জম হোসেন রতন। ধর্মপাশা আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদ মুরাদের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল আসে সম্মেলনস্থলে।
সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সম্মেলনে আসেন। সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়ন থেকে অ্যাড. বুরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি মিছিল অনুষ্ঠানস্থলে আসে।
জেলা কৃষকলীগ নেতা আব্দুল কাদির শান্তি মিয়ার নেতৃত্বে একটি মিছিল, গৌরারং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন আলীর নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীরা সম্মেলনে অংশ নেন।
জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুকশেদ আলীর নেতৃত্বে একটি মিছিল আসে অনুষ্ঠানস্থলে। এসময় ইউনিয়ন সেক্রেটারী সেলিম আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা নুর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিসির আলী সরকারসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রঙ্গারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল করিম, ইউপি সদস্য এরশাদ মিয়া ও মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের একটি মিছিল আসে সম্মেলনস্থলে। মিছিল সহকারে আসেন সুরমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার ডিলার। একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম আহমদের এবং সাধারণ স¤পাদক নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি মিছিল আসে। অন্য একটি খ- মিছিলে সুরমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলামকে দেখা গেছে।
মধ্যনগর উপজেলার পরিতোষ সরকারের নেতৃত্বে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা অংশ নেয় সম্মেলনে। দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীমুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে সম্মেলনে অংশ নেয়।
দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলা বাজার ও সুরমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একাধিক মিছিল আসে সম্মেলনস্থলে। শান্তিগঞ্জ উপজেলা এবং জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে মিছিল সহকারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আসেন।
সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান এবং সাধারণ স¤পাদক মুহিবুর রহমানের নেতৃত্বে মিছিল আসে। জেলা পরিষদ সদস্য ফৌজি আরা শাম্মীর নেতৃত্বে মিছিল সহকারে সম্মেলনে যোগ দেন নারীনেত্রীরা।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা থেকেও একটি বিরাট মিছিল আসে সম্মেলনে। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সফর আলী এবং সলুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী তপন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও দিরাই ও শাল্লা উপজেলা থেকে খ- খ- মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাকর্মী, অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।