স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেছেন, হাওর এলাকার নদ-নদীর পানি প্রবাহ সচল রাখতে ও আগাম বন্যার হাত থেকে হাওরের ফসলরক্ষা করতে বিআইডব্লিউটিএ ও পানি স¤পদ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় করে কাজ করবে। তিনি জানান, হাওরাঞ্চলের নদী খনন ও রক্ষণাবেক্ষণে স্থায়ীভাবে ড্রেজার বেইজ স্থাপন করা হবে। এতে নদী খনন ও তদারকি কাজ সহজ হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলার সোলেমানপুর এলাকার পাটলাই নদীর নৌজট পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক আরও বলেন, হাওর এলাকার নদী খনন ও নদীর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থায়ীভাবে ড্রেজার বেইজ করা হবে। এতে লং বুম এস্কেভেটরসহ আধুনিক খনন মেশিনারিজ থাকবে। হাওর এলাকায় স্থায়ীভাবে ড্রেজার রাখা হবে। যাতে জরুরি প্রয়োজনে নদী খনন করে সৃষ্ট সমস্যা নিরসন করা যায়।
তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে বিআইডব্লিউটিএ’র সেরকম সক্ষমতা ছিল না, এখন আমরা সেই সক্ষমতা অর্জন করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে ৩৮টি আধুনিক ড্রেজার দিয়েছেন। আমরা আরও ৩৫ ড্রেজার কেনার প্রকল্প নিয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন নদীমাতৃক বাংলাদেশের চিরচেনা রূপ ফিরিয়ে দিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ উদ্ধার করে দেশবাসীকে উপহার দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথ উদ্ধার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সিলেট বিভাগ পিছিয়ে আছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৭০০ কিলোমিটার নৌপথের নাব্য সংকট দূর করে সব সময় সচল রাখা হবে। হাওর এলাকার নদী খননের মাটি ডাইক করে ফেলা হবে যাতে এগুলো আবার নদীতে না পড়ে। বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজার নদীর তীর থেকে ১ কিলোমিটার দূরে মাটি ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে স্থানীয়দের সহায়তার দরকার। তারা যদি ড্রেজ মেটেরিয়াল ফেলার জায়গা করে দেন, তাহলে আমরা আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবো।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, দেশের নদী খননের জন্য আরও ৩৫ অত্যাধুনিক ড্রেজার মেশিন কেনার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। হাওর এলাকার নদীগুলোতে ৩ থেকে ৪ মিটার পানি যাতে পাওয়া যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে নদী খননে ধীর গতি থাকবে না। সুনামগঞ্জের নৌপথ ও নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড মিলে একসঙ্গে কাজ করবে।
এছাড়া কমোডর গোলাম সাদেক পাটলাই নদীর বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, পরিচালক সাইফুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম তালুকদার, পরিচালক মো. শাহজাহান, বন্দর কর্মকর্তা সুব্রত রায়।