জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
জগন্নাথপুরে চুরি করা গরুসহ ইমন মিয়া (২০) নামের এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন জনতা। সে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের পাটকুরা গ্রামের সুজন মিয়ার ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে, পাইলগাঁও ইউনিয়নের সাতা পয়েন্ট নামক বাজারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিন, সমাজকর্মী মাসুম আহমদ, খোকন মিয়াসহ অনেকে জানান, মঙ্গলবার ভোরে একটি ষাঁড় নিয়ে স্থানীয় আলাগদি গ্রামের বড়বন হাওর দিয়ে এলোমেলোভাবে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল ইমন। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সদুত্তর দিতে না পেরে সে গরু ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন স্থানীয়রা তাকে ধরে গরুসহ সাতা পয়েন্ট বাজারে নিয়ে আসেন। এ সময় সে জানায়, উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের কুড়িহাল গ্রামের সাকির মিয়ার গরু চুরি করে নিয়ে এসেছে। ঘটনাটি জানতে পেরে গরুর মালিক সাকির মিয়াও এসে উপস্থিত হন। এ সময় উত্তেজিত জনতা ইমন মিয়াকে গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই ওবায়েদুল্লাহসহ পুলিশ দল ঘটনাস্থলে গেলে গরুসহ চোরকে হস্তান্তর করা হয়।
ক্ষুব্ধ জনতাদের মধ্যে অনেকে জানান, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন গ্রামে ২৩টি গরু চুরি হয়েছে। ইদানিং গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। গরু চোর আতঙ্কে অনেকে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। এর মধ্যে সাতা গ্রামের জাহেদ মিয়ার ৩টি, মাকড়কোনা গ্রামের ছুরুক মিয়ার ৩টি, কাতিয়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ৪টি, চরা গ্রামের মুহিত কাবেরির ৬টি, ঐহারদাস গ্রামের কামাল উদ্দিনের ১টি, দয়ালনগর গ্রামের আলী আকবরের ৪টি সহ ২৩টি গরু চুরি হয়েছে বলে চুরি যাওয়া গরুর মালিকরা জানান।
জগন্নাথপুর থানার এসআই ওবায়েদুল্লাহ জানান, গরু চুরি রোধে রাতে পুলিশের টহল আরো বাড়ানো হবে।