শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ যথানিয়মে স¤পন্ন না করায় এবং ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে গাফিলতির কারণে শান্তিগঞ্জের পূর্ব বীরগাঁও, পশ্চিম বীরগাঁও ও পাথারিয়া ইউনিয়নে খাই হাওরের পিআইসির (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) ৪ সভাপতিকে আটক করে মোবাইল কোর্টে জরিমানা আদায়, একজনকে মুচলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা কাবিটা কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার উজ জামানের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপজেলার খাই হাওরের প্রায় ২৩টি ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় ফসল বাঁধের কাজ যথানিয়মে স¤পন্ন না করায় এবং ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে গাফিলতির কারণে ৪৭নং পিআইসির সভাপতি অলেক মিয়া, ৬৩নং পিআইসির সভাপতি ছয়ফুল ইসলাম, ৬৫নং পিআইসির সভাপতি মাসুম আহমদ ও ৬৬নং পিআইসির সভাপতি কুহিনুর রহমান মিছবাহকে আটক করে তাদেরকে মোবাইল কোর্ট আইনের ১৮৮ ধারায় প্রত্যক পিআইসিকে প্রথমবারের মতো ১ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এসময় ৪৭নং পিআইসির সভাপতি অলেক মিয়াকে যথানিয়মে বাঁধের কাজ স¤পন্ন করার অঙ্গীকার করায় তাকে মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা কাবিটা কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার উজ জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার সুহাইল আহমদ, উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব আলম, পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. রিয়াজুল ইসলাম, শান্তিগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক সুব্রত কুমার দাস, ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান সহ প্রমুখ।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা কাবিটা কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, পিআইসি কমিটির লোকজনদের বাঁধের কাজের গতি খুবই কম। কিছু কিছু বাঁধ যথানিয়মে হচ্ছে না। তাই তাদেরকে আটক করে প্রথমবারের মতো মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথানিয়মে বাঁধের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছি। বাঁধের কাজ যথানিয়মে স¤পন্ন না করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।