সংবাদ প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে, ‘দিরাইয়ে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ’। গত রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) দৈনিক সুনামকণ্ঠে লেখা হয়েছে, ‘দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ গ্রামের মনিরুজ্জামান চৌধুরী ওই গ্রামের সাবান চৌধুরী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তাদের রেকর্ডিয় জমি জবর দখলের অভিযোগ করেছেন।’ শনিবার দুপুরে দিরাই প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করা হয়। জমির পরিমাণ বিভিন্ন দাগে ১১ একর।
বাংলাদেশের সমাজ সংস্থিতির একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো সম্পদ আত্মসাৎ। সে যে-কোনও ধরনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হতে পারে। বিষয়টা এতোটাই বর্বরোচিত অবস্থায় পর্যবসিত হয়ে আছে যে, এইসব বৈষয়িক সম্পদের মধ্যে নারীকে পর্যন্ত গণ্য করা যেতে পারে। এখানে জমি, বাড়ি, গাড়ি, খাল-নদী, বিল-বাঁওর, চর, সড়ক-ফুটপাত, বাণিজ্যিক এলাকা ও প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর, রাজনীতির ময়দান, ক্ষমতার কেন্দ্র-বলয় ইত্যাদি সকল সামাজিক রাজনীতিক সুযোগ-সুবিধা দখল-জবর দখলের প্রক্রিয়া, বলা যায়, একটি কাঠামোগত পদ্ধতির নিয়ন্ত্রণাধীন আছে। সুতরাং দিরাইয়ে জমি দখলের ঘটনাটি ঘটতেই পারে। এটাই স্বাভাবিক। এই ‘অস্বাভাবিক’ স্বাভাবিকতা থেকে রক্ষা পেতে হলে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক বিন্যাসটাকে বদলে দিতে হবে, বদলে দিতে হবে কাঠামোগত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটাকে। এর কোনও বিকল্প নেই।
পরিশেষে সম্পাদকীয় দপ্তর হতে কেবল এইটুকু বলা যেতে পারে যে, যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে জবর দখলকৃত জমি উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।