স্টাফ রিপোর্টার ::
লেখক ও শিল্পী ধ্রুব এষসহ ১৫ জনের হাতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে দুই লাখ টাকার চেক, একটি করে সম্মাননা পত্র ও সম্মাননা পদক দেয়া হয়।
শিশু সাহিত্যে ধ্রুব এষসহ বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- কবিতায় ফারুক মাহমুদ ও তারিক সুজাত, কথা সাহিত্যে তাপস মজুমদার ও পারভেজ হোসেন, প্রবন্ধ/গবেষণায় মাসুদুজ্জামান, অনুবাদে আলম খোরশেদ, নাটকে মিলন কান্তি দে ও ফরিদ আহমদ দুলাল ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় মুহাম্মদ শামসুল হক। এছাড়া বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় সুভাষ সিংহ রায়, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/পরিবেশবিজ্ঞানে মোকাররম হোসেন, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণ কাহিনিতে ইকতিয়ার চৌধুরী এবং ফোকলোরে পুরস্কার পেয়েছেন আবদুল খালেক ও মুহাম্মদ আবদুল জলিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বিকেলে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৩’ এর উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। তিন বছর পর সশরীরে মেলায় এসে তিনিও ছিলেন দারুণ উচ্ছ্বসিত।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় মেলা হচ্ছে এবার; অংশ নিচ্ছে ৬০১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। মাসব্যাপী এ মেলার প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত আর একুশের অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ভাষা শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা। এছাড়া সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনও বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। বইপড়ার অভ্যাস বৃদ্ধির জন্য সারাদেশে আঞ্চলিক সাহিত্যমেলা চালিয়ে যেতে হবে। পরিবর্তিত বই-বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অডিও বই প্রকাশের তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, একই সঙ্গে বাংলা ভাষায় রচিত গুরুত্বপূর্ণ বইপত্র ইংরেজিসহ উল্লেখযোগ্য বিদেশি ভাষায় অনুবাদের ব্যবস্থা করতে হবে।
উদ্বোধনী স্মারকে স্বাক্ষর করে প্রধানমন্ত্রী বইমেলা উদ্বোধন করার পর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। তিনি চলে যাওয়ার পর বইমেলার দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।