স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২০২২ সালে কয়েক দফা ভয়াবহ বন্যা সংঘটিত হয়, যা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। গণমাধ্যমসহ কোথাও এমন ভয়াবহ বন্যার ব্যাপারে কোন পূর্বাভাস না থাকায় ভয়াবহ দুর্যোগের ব্যাপারে কোন পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না। ভয়াবহ দুর্যোগ প্রতিরোধে, ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে, পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণে এবং ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে মানুষ গণমাধ্যমের দিকে অনেকাংশে তাকিয়ে থাকে। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশে দুর্যোগ সাংবাদিকতা বিকশিত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা।
তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট ও সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তাঁরা এসব কথা বলেন।
‘বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণে দুর্যোগ সাংবাদিকতার ভূমিকা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভা বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের এই সংক্রান্ত গবেষণা প্রকল্পের অংশ হিসেবে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে এবং এই গবেষণার প্রধান গবেষক সাংবাদিক এহসানুল হক জসীমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের গবেষণা কর্মকর্তা মো. ফাইম সিদ্দিকী, গ্রন্থাগারিক কাজী ওমর খৈয়াম ও সহযোগী গবেষক আলী আহমদ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি মাসুম হেলাল, মাছরাঙা টিভির জেলা প্রতিনিধি এমরানুল হক চৌধুরী, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক সুনামগঞ্জের সময়ের স¤পাদক ও প্রকাশক সেলিম আহমদ তালুকদার, সাধারণ স¤পাদক ও সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি হিমাদ্রি শেখর ভদ্র, দৈনিক জালালাবাদের জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন, দৈনিক আজকালের জেলা প্রতিনিধি আমিনুল হক প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি অরুণ চক্রবর্তী, একুশের টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্দুস সালাম, দৈনিক অর্থনীতির কাগজ ও কিংস নিউজের জেলা প্রতিনিধি শামসুল কাদির মিছবাহ, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের জেলা প্রতিনিধি দেওয়ান তাছাদ্দুক রাজা চৌধুরী ইমন, দৈনিক বাংলা জেলা প্রতিনিধি মোসাইদ রাহাত, দৈনিক জাগরণের জেলা প্রতিনিধি পীর জুবায়ের, দৈনিক সুনামকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার আশিস রহমান, দৈনিক বণিক বার্তা জেলা প্রতিনিধি আল আমিন, বৈশাখী টিভির জেলা প্রতিনিধি কর্ণ বাবু দাস, আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি এমরান হোসেন, মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি আবু হানিফ, ঢাকা প্রকাশের জেলা প্রতিনিধি মনোয়ার চৌধুরী, সকালের সময়ের জেলা প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম, গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান রুমান, দৈনিক সকাল বেলার জেলা প্রতিনিধি সামিয়ান তাজুল প্রমুখ।
তাঁরা ২০২২ সালে সংঘটিত পর পর তিনটি বন্যার বিষয়টি সরেজমিন যা দেখেছেন এবং এই সংক্রান্ত রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে তাঁদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। বন্যাসহ দুর্যোগের ক্ষেত্রে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণে গণমাধ্যমের ভূমিকার বিষয়েও সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরা হয়।