শাল্লা প্রতিনিধি ::
শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর বড়খাল বাঁধের অর্ধশত গাছ কেটে হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধ মেরামত করায় ছায়ার হাওর উপ-প্রকল্পের আওয়তায় ২২নং পিআইসি কমিটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। রোববার দুপুরে এলাকাবাসীর আয়োজনে আনন্দপুর বড়খালের বাঁধে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও আব্দুল আজিজ মিয়া তালুকদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক ওয়ার্ড সদস্য কালাই মিয়া তালুকদার, গরমোহন রায়, মৃৎশিল্পী অরবিন্দু পাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক স¤পাদক মিহির কান্তি রায়, কৃষক সুশীল শীল, রবীন্দ্র বিশ্বাস, অমর চাঁদ দাশ, বাবুল দাশ, অঞ্জন দাশ, বকুল দাশ ও কলেজ শিক্ষার্থী জুয়েল রায় প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগ ২০১১ সালে এই বাঁধে দিরাই শাল্লা রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি ফেলেছিল। দীর্ঘ একযুগ ধরে এই বাঁধটি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। বাঁধের পূর্বপ্রান্তে সারিবদ্ধভাবে অর্ধশত গাছ ছিল। কিন্তু ছায়ার হাওর উপ প্রকল্পের আওয়তায় ২২নং পিআইসি কমিটির লোকজন এসব গাছ কেটে ফেলেছে। বাঁধের উপরে অবস্থিত গাছগুলো কেটে ফেলায় বাঁধটিকে ভবিষ্যতে চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে ওই পিআইসি কমিটি।
বক্তারা আরও বলেন, বাঁধের আরও ক্ষতি করেছে বাঁধের দুই পাশের মধ্যভাগে বাঁশের আড়ি দিয়ে। বাঁশের গোড়া পচে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হবে। এই বাঁধের গোড়ায় সামান্য ভাঙার সৃষ্টি হলে কোটি টাকা দিয়েও বাঁধ রক্ষা করা যাবে না। এই বাঁধে পিআইসি কমিটি সামান্য মাটি ফেলে দায়সারাভাবে নি¤œমানের কাজ করে মোটা অংকের অর্থলাভ করতে চাইছে। প্রকৃতপক্ষে ওই বাঁধে কোনো প্রকল্পেরই দরকার ছিল না। তবুও এখানে ফসলরক্ষার নামে বাঁধ মেরামতের জন্য প্রকল্প দেওয়া হয়েছে ২০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। অথচ মাদারিয়া ব্রিজের উত্তর অংশসহ মাটির কাজ করা হয়েছে মাত্র ২ থেকে ৩লাখ টাকার। বাঁধের উপরে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলায় ও নিুমানের কাজ করে অক্ষত বাঁধের ক্ষতি করায় ২২নং পিআইসি কমিটির বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আইনহত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী। মানববন্ধনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আবনা গাছ ছিলো বাঁধে। তারপরও বাঁধে গাছ লাগানো হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, বাঁধের সব গাছ কেটে থাকলে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।