স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরের নির্মাণাধীন বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহা পরিচালক আমিনুল হক ভূঁইয়া। এসময় তিনি আগামী মাসের ২৮ ফেব্রুয়ারির আগে হাওরের সকল বাঁধের কাছ শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাউবো এই কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় হাওরের ফসল ও বাঁধের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। সেটি মাথায় রেখে আমরা চাচ্ছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাঁধের কাজ শেষ করা যায়। আমরা প্রতিদিনই বাঁধের কাজ মনিটরিং করছি। আগাম বন্যার কবল থেকে যাতে ফসল সুরক্ষিত রাখা যায় সেক্ষেত্রে আমাদের ডেলাইন অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারির আগে কাজ শেষ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। বাঁধের গুণগতমান বজায় রাখার পাশাপাশি টেকসই বাঁধ নির্মাণে বাঁধের গোড়া থেকে মাটি উত্তোলন থেকে বিরত থাকতে পিআইসিদের নির্দেশনা দেয়া আছে। বাঁধের গোড়া থেকে যাতে মাটি উত্তোলন না হয় এর জন্যে জোর মনিটরিং করা হচ্ছে। বাঁধের কাজে অনিয়ম বা উদাসীনতা দেখা গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল ঘরে তুলতে না পারলে এর প্রভাব জাতীয়ভাবে পড়বে। সেজন্য কৃষক ও পিআইসিদের আন্তরিক হতে হবে। বাঁধ নির্মাণকাজে সকলের সহযোগিতা চান পাউবোর এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাঁধ পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রবীর কুমার গোস্বামী। সুনামগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী সুপ্রভাত চাকমা। এর আগে তাহিরপুর উপজেলা হলরুমে কাবিটা নীতিমালার আলোকে সুষ্ঠুভাবে হাওর রক্ষাবাঁধ নির্মাণের জন্য তাহিরপুর উপজেলাধীন বাঁধের পিআইসি সদস্যদের নিয়ে বিশেষ কর্মশালা ও মতবিনিময় সভা করেন পাউবো কর্মকর্তারা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বালিজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন, দক্ষিণ বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস মিয়া, সাংবাদিক আমিনুল হক, শহীদনূর আহমেদসহ বিভিন্ন পিআইসির সভাপতি ও সদস্য সচিব।
এসময় পিআইসিদের পক্ষ থেকে বিগত বছরের বকেয়া বিল পরিশোধসহ নতুন বছরের আগাম অর্থ ছাড়ের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আলোকপাত করনে।
প্রসঙ্গত তাহিরপুর উপজেলায় ১১৩টি প্রকল্পের মধ্যে ৮৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার ১২ উপজেলার বিভিন্ন হাওরের বোরো ফসলের সুরক্ষায় বাঁধ নির্মাণের জন ১১০২টি প্রকল্পে ২০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।