শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন প্রকার মাদক। একটি চক্রের লাভ-লোভের কারণে দেশকে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকারে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম হচ্ছে বিপথগামী। যা আমাদের দেশের জন্য অশনি সংকেত। আমাদের আগামী প্রজন্ম যদি মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে, তাহলে কোনো উন্নয়নই কাজে আসবে না। দেশ এগিয়ে যাওয়ার বদলে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়তে বাধ্য। কারণ আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ।
মদ, গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবার পাশাপাশি এখন নিত্যনতুন মাদকের খোঁজ মিলছে। তরুণদের টার্গেট করে নানা রকম মাদকের বিস্তার ঘটাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। জানাগেছে, বেশ কিছুদিন ধরে নতুন মাদকের দিকে ঝুঁকছেন মাদকবিক্রেতা ও সেবীরা, যার নাম ক্রিস্টাল মেথ বা আইস। এটি একটি ভয়ঙ্কর মাদক, যা ইয়াবা থেকে বহুগুণ শক্তিশালী। আইস মানব মস্তিষ্কের নিউরনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এটি একটি ‘ক’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সূত্রে জানাযায়, সর্বপ্রথম আইস মাদকটি বাংলাদেশে ধরা পড়ে ২০০৭ সালে। তারপরে ১০ থেকে ১২ বছর এর অস্তিত্ব তারা পায়নি। ২০১৯ সালে আবারও এ মাদকের আবির্ভাব ঘটে। সে সময় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আইস তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। এর সাথে জড়িত যাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সে মালয়েশিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াকালেই আইস তৈরির কারিগরি জ্ঞান অর্জন করে দেশে ফিরে আইস তৈরির কারখানা গড়ে তোলে। এমন ভয়ঙ্কর তথ্য আমাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়।
সুনামগঞ্জের তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা মনে করি, সুনামগঞ্জ সদর থানার উদ্যোগটি একটি মডেল হতে পারে। এভাবে জেলার সবগুলো উপজেলায় টুর্নামেন্ট আয়োজন করে তরুণদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করার পাশাপাশি মাদক থেকে দূরে রাখা সম্ভব। যেকোনোভাবে আমাদের নবপ্রজন্মকে মাদকের সর্বনাশা গ্রাস থেকে রক্ষা করতে হবে। এ ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।