হোসাইন আহমদ ::
শান্তিগঞ্জের পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ছিফতখালী বেড়িবাঁধ কেটে দেয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে উপ্তিরপাড়, মৌখলা, ঠাকুরভোগ ও টাইলা গ্রামের কয়েক হাজার হেক্টর বোর জমি।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত না করে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একেবারে অক্ষত টেকসই ছিফতকালী বেড়িবাঁধটি এস্কেভেটর মেশিন লাগিয়ে প্রায় ৩০ ফুট গভীর খালের মত কাড়া করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছে। এই বাঁধ কাটা কাড়া দিয়ে ফালগুন মাস পর্যন্ত পানি নিষ্কাশন করা হবে বলে জানান কাউয়ুজুরী গ্রামের কৃষক শেলু মিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাঁধের পার্শ্ববর্তী গ্রামের আরও একাধিক কৃষক জানান, এইভাবে অপরিকল্পিতভাবে এত ভাল টেকসই গুরুত্বপূর্ণ বাঁধটি কেটে দেওয়ায় বৃষ্টি বাদলের দিন ফালগুন অথবা চৈত্র মাসে তড়িঘড়ি করে বাঁধটি মেরামত করা হলে এইভাবে টেকসই না হয়ে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ থেকে যাবে। ফলে প্রথম ধাপে ঢলের পানি আসার পর নতুনভাবে বাঁধটি মেরামত করা হলেও তা সহজেই ভেঙে গিয়ে হাওর ডুবির আশঙ্কা রয়েছে। তবে হাওরে গিয়ে অনেকের সাথে আলোচনা করা হলে বাঁধটি কে কেটে দিয়েছে তা কেউই বলতে পারেননি।
এ ব্যাপারে মরা মহাসিং নদী জলমহালের ইজারাদার জাবেদ নুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই বাঁধটি আমরা কেটে দেইনি। কে কারা কেটে দিয়েছে আমরা জানিনা। এ ব্যাপারে জানতে পাঁচকাইপনা জলমহালের ইজারাদার নুর মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মাহবুল আলম ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান জানান, বাঁধ কাটার বিষয়ে কেউ আমাদেরকে অবগত করেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যারা বাঁধটি কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।