মো. শাহজাহান মিয়া ::
জগন্নাথপুর পৌর সদরের বুক চিরে বয়ে গেছে নলজুর নদী। নদীর পশ্চিমপাড়ে রয়েছে সদর বাজার, থানা ভবন, ব্যাংক-বীমা সহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। নদীর পূর্বপাড়ে রয়েছে উপজেলা পরিষদ, হাসপাতালসহ সকল সরকারি দপ্তর। মধ্যস্থানে আছে নলজুর নদী। প্রতিনিয়ত এপারের মানুষ ওপারে আবার ওপারের মানুষ এপারে যাতায়াতসহ জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে দুইটি সেতু। বড় সেতুটি রয়েছে পৌর পয়েন্ট থেকে খাদ্যগুদাম ও ছোট সেতুটি রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ভবন পয়েন্ট থেকে শহীদ মিনার এলাকায়। এ জনগুরুত্বপূর্ণ ২টি সেতুর মাধ্যমে মানুষ যুগযুগ ধরে চলাচল করে আসছেন। এতেও প্রতিদিন যানজট প্রায় লেগেই থাকে। এর মধ্যে প্রায় এক বছর আগে ছোট সেতুটি দেবে যায়। সেতুটি দেবে যাওয়ার পর থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বর্তমানে হেঁটে মানুষ চলাচল করছেন। অচিরেই আবার বড় সেতুটিও ভেঙে ফেলা হবে। তাই যোগাযোগ রক্ষা নিয়ে মানুষের চিন্তার শেষ নেই। ছোট সেতুটি এখনো মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ করা হয়নি। তার উপর বড় সেতু ভেঙে ফেলার খবরে মানুষ সামনে সমূহ ভোগান্তির আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন জানিয়েছেন, দৃষ্টি নন্দন আর্চ সেতু নির্মাণের জন্যই বড় পুরনো সেতু দ্রুত ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া চলছে। শুধু বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের লাইন সরিয়ে নিলেই পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, যোগাযোগ রক্ষায় কোন শঙ্কা নেই। বিকল্প সেতু ও পুরনো ছোট সেতু দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নদীতে পানি আসলে বিকল্প বেইলি সেতুটি আরও উঁচু করা যাবে। এছাড়া শহীদ মিনার এলাকার দেবে যাওয়া ছোট সেতুটিও চলাচলের উপযোগী করা হবে। সুতরাং যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোন সমস্যা হবে না।
উল্লেখ্য, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রচেষ্টায় জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্ট থেকে খাদ্যগুদাম পর্যন্ত নলজুর নদীর উপর ১৩ কোটি ৪২ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে নতুন দৃষ্টি নন্দন আর্চ সেতু নির্মাণ করা হবে। যে কারণে বর্তমান সেতুটি ভেঙে ফেলা হবে। যদিও প্রাথমিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য সেতুর পাশে আরেকটি বিকল্প ছোট বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।