শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
শান্তিগঞ্জের পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডের শত্রুমর্দন ও পশ্চিমপাড়া ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামবাসীর উদ্যোগে দলার হাওরে বোরো মৌসুমে পানি সংরক্ষণের বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের পাগলা পশ্চিমপাড়া ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের ফজির আলীর বাড়ীতে ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের প্রবীণ মুরব্বী বীর মুক্তিযোদ্ধা নরেশ দাসের সভাপতিত্বে ও ব্রাহ্মণগাঁও জামে মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক আফিজুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন শত্রুমর্দন গ্রামের সমাজসেবক কৃষক প্রতিনিধি কমরু মিয়া, রন পাল, নজির আলী, ভৈরব সূত্রধর, জিতেন সূত্রধর, কাদির মিয়া, হিরন দাস, সাবেক মেম্বার হিরেশ পাল, কিতেশ নাথ, ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের জমিরুল হক, সাজু মিয়া, আইয়ুব উদ্দীন, আব্দুছ ছাত্তার, সাবেক মেম্বার শওকতুল ইসলাম, সমাজসেবক সামছুল হক, মফিজুর রহমান, নুর ইসলাম মুল্লুক, সুশীল দাস, সাবিদ নুর, আসদ উল্লা, অনীল দাস, জাবেদ নুর প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, দলার হাওরের পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত হাওরের ভিতরে হাওরের পানি সংরক্ষণের জন্য ৫টি ছোট ছোট বাঁধ রয়েছে। পূর্বের বাঁধ আগুনের কাড়া ও চেচারকেনা বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ করেন ইসলাম পুর ও শত্রুমর্দন গ্রামবাসী, পশ্চিম অংশের ১টি বাঁধ নয়া বিলের বান রক্ষণাবেক্ষণ করেন বীরগাঁও গ্রামবাসী। মাঝখানে পিঁপড়াকান্দি ও পল্লার কাড়া বাঁধটি রক্ষণাবেক্ষণ করেন ব্রাহ্মণগাঁও জামে মসজিদ কমিটির লোকজন। তারা বর্ষার মৌসুমে ভাসান পানি থাকা অবস্থায় চিংড়ি মাছ আহরণের জন্য ইজারা দিয়ে উক্ত ২টি বাঁধে মাটি কাটিয়ে ও পাহারাদার রেখে বোরো মৌসুমে পানি সংরক্ষণ ও বৈশাখ মাসে উক্ত বাঁধগুলো দিয়ে কৃষকের ধান গোলায় তোলার উপযোগী করে দেওয়া হয়। তারা আরও বলেন, বিগত ২ বছর যাবৎ কিছু ষড়যন্ত্রকারীর অহেতুক ষড়যন্ত্রের কারণে পিঁপড়ার কান্দি বাঁধটি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত না করায় এবং প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় জমিতে পলি পড়ায় বোরো মৌসুমের শুরুতেই দলার হাওরের পূর্বের অংশের পানি কমে গিয়ে জমিগুলো শুকিয়ে যায় কিন্তু পশ্চিমের পল্লার কাড়া বানী ডুবি এরিয়ায় পর্যাপ্ত পানি থাকায় এবং পল্লার কাড়ায় মসজিদ কমিটির লোকজন কর্তৃক মাটি ভরাট ও পাহারাদার রাখায় এই পাশের কৃষকের কোন সমস্যা হয় নি। দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর সভায় সকলেই মত প্রকাশ করেন কিছু দিনের মধ্যে গ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় পূর্বের ন্যায় মসজিদ কমিটির মাধ্যমে উক্ত পিঁপড়াকান্দি ও পল্লার কাড়া বানী ডুবির বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ও মাটি ভরাটে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতে অন্যায়ভাবে উন্নয়ন কাজ বন্ধ করতে চাইলে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। নিজের অংশ মেরামত না করে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে কাউকে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না বলেও জানান উপস্থিত জনতা। মতবিনিময় চলাকালীন শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল আলম নিক্কু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করেন খুব শীঘ্রই দলার হাওরের কৃষকের সকল সমস্যার নিরসন করা হবে। বিধায় গ্রামবাসী নতুন কোন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।