স্টাফ রিপোর্টার ::
হাওরাঞ্চলে গত কয়েক দিন ধরে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে শীতে কাবু নি¤œ আয়ের মানুষ। এছাড়াও হাওরে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। দিনে শীতের তীব্রতা কিছুটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর তা বাড়তে থাকে।
তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরে পাড়ের কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, গত কয়েক দিন ধরে সকাল থেকে সারাদিন রোদের দেখা পাওয়া গেলেও তাপ নেই বললেই চলে। ফলে হাঁড় কাঁপানো শীতে জীবন জীবিকা কষ্টের হয়ে গেছে। শীতে বোরো জমিতে চারা রোপণ করতে পারছিনা।
শ্রমিক আমিনুল ইসলাম জানান, হাঁড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতেই কষ্ট হচ্ছে। এরপরও শীতের মধ্যেই কাজে যেতে হয়। না হলে না খেয়ে থাকতে হবে।
তাহিরপুর উপজেলার কৃষি অফিসার হাসান উদ দোলা জানান, হাওরে শীতের তীব্রতায় বোরো জমিতে চারা রোপণে কৃষক ও শ্রমিকরা কষ্ট করেই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েকদিনে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আশা করি বোরো ধানের চারা রোপণে এর প্রভাব পড়বে না।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, বৃহস্পতিবার সিলেট অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি। তিনি জানান, সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য কমে আসলে শীতের অনুভূতি বেড়ে যায়। আগে যেখানে তাপমাত্রা কম ছিল কিন্তু শীতের অনুভূতি এত বেশি ছিল না। গত কয়েকদিন বেশ কিছু এলাকায় আগের চেয়ে শীত বেশি অনুভব হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন এই অবস্থাই বিরাজ করবে বলে তিনি জানান।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
আগামী ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। কুয়াশার বিষয়ে বলা হয়, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।