স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ শহরতলির ধারারগাঁও এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ‘সুরমা ভ্যালি পার্কে’ দীর্ঘ ৯ বছর ধরে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন না থাকায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে এলাকাটি। এই কারণে অরক্ষিত পার্ক এলাকা জুড়ে চলছে নানা অবৈধ ব্যবসা। দিনে ও রাতে চলছে অনৈতিক কার্যকলাপ। তাই সুরমা ভ্যালি পার্ক যথাযথ উন্নয়ন ও সংরক্ষণের দাবি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সুরমা ভ্যালি পার্ক। তখন পার্ক নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। পরে ২০১৭ সালে পার্কের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে পার্ক এলাকা। পার্কের ভেতরে রয়েছে শিশুদের ৩টি দোলনা। পরিত্যক্ত টয়লেট ১টি। পার্কের ভেতরে বসার স্থান নেই, কোনো সীমানা প্রাচীর নেই। নেই কোনো গাছ-পালা। প্রতিদিন পার্কের ভেতরে চলছে বখাটেপনা। কেউ কেউ করছেন পার্কের ভেতরে ব্যবসা। কেউ বালু-পাথরের, কেউ মেশিন দিয়ে ইট ভাঙার ব্যবসা করছেন। কেউ আবার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে দিয়ে উপার্জন করছেন টাকা। আবার কোনো কোনো বখাটেরা পার্কে আসা ‘জুটি’র কাছ থেকেও ভয় দেখিয়ে আদায় করছেন টাকা। কেউ ৫০ টাকা করে আবার কেউ ১০০ টাকা করে আদায় করছেন। রাতের বেলায় চলে আসছে নেশার আড্ডা।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, জহুর মিয়া নামের একজন ব্যবসায়ী মেশিন দিয়ে ইট ভাঙার ব্যবসা করে আসছেন পার্কের ভেতরে। প্রতিদিন মেশিন দিয়ে ইট ভাঙার কাজ করে আসছেন ওই ব্যবসায়ী।
আলী নুর নামের এক লোক পার্কে আসা জুটিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ধারারগাঁও এলাকার বাসিন্দা শাহজান উদ্দিন বলেন, পার্কের যথাযথ উন্নয়ন জরুরি প্রয়োজন।
সাজেদা বেগম বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত ছিলাম পার্ক প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়। কিন্তু পার্কের সুনাম প্রচারের আগেই বদনাম রটে যাচ্ছে। আমরা পার্কে যেতে চাইলেও পারছি না। এই পার্ক নিয়ে ভাবতেও অবাক লাগে।
সুয়েব মিয়া বলেন, পার্কে আসা ‘জুটি’দের আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। তাদের অনৈতিক কার্যকলাপে লজ্জায় মুখ ঢাকতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কুরবাননগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ূম বলেন, এই পার্কের দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন নেই। উন্নয়ন না থাকায় অরক্ষিত হয়ে আছে পার্ক এলাকা। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে আমাদের ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চৌকিদার দিয়েছিলাম। এখন আমার জানামতে পার্ক দেখাশোনা করার কেউ নেই।