স্টাফ রিপোর্টার ::
নিরীহ গো-ছানার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন মঈনুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান। কলেজ ক্যা¤পাসে ঢুকে গাছের পাতা খাওয়ার ‘অপরাধে’ ধারালো রড দিয়ে ঘাই মেরে গুরুতর আহত করেছেন গো-ছানাটিকে। প্রায় ৩০ মিনিট গাঁথা রড নিয়ে গো-ছানাটি এলোমেলো দৌড়াদৌড়ি করার পর কয়েকজন লোক রডটি অপসারণ করেন। বুধবার সকালে পশুর সঙ্গে শিক্ষক এমন অমানবিক কা- করেন।
জানা গেছে, বুধবার সকালে সরদারপুর গ্রামের এক কৃষকের একটি গো-ছানা মঈনুল হক কলেজে ঢুকে পড়ে। কলেজ ক্যা¤পাসের ফুলের পাতা খেয়ে ফেলে। এ ঘটনা দেখে কলেজের শ্রেণিকক্ষে সপরিবারে অবস্থানরত অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ধারালো রড দিয়ে গো-ছানাটিকে সজোরে ঘাই মারেন। ধারালো রডটি গো-ছানার মেরুদ-ের পিছনের অংশে এফোড় ওফোড় হয়। হঠাৎ চিৎকার করে গো-ছানাটি উন্মাদের মতো দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। প্রায় আধা ঘণ্টা পর গো-ছানার হাম্বা ধ্বনী চিৎকার শুনে সরদারপুর গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি গো-ছানাটি ধরে ধারালো রডটি অপসারণ করেন। পরে প্রাণী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করান।
সরদারপুর গ্রামের ইউপি সাবেক ইউপি সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, গোছানাটি আমার নিকটাত্মীয়ের। বিতর্কিত অধ্যক্ষ ধারালো রড দিয়ে প্রাণীটিকে ঘাই মেরে অমানবিক আচরণ করেছেন। এর আগেও তিনি দুই ছাত্রীকে কোদাল দিয়ে আহত করেছিলেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবরে শিক্ষার্থীরাও অভিযোগ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অনিয়মের প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
সিলেট বাপার সেক্রেটারি আব্দুল করিম কিম বলেন, একজন শিক্ষক প্রাণীর সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা পশুত্বকেও হার মানিয়েছে। নিন্দনীয় এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিচার হওয়া উচিত।
কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এখন কথা বলতে পারবেন না।