স্টাফ রিপোর্টার ::
‘ট্যাক্স ও জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ’ শিরোনামে সম্প্রতি দৈনিক সুনামকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের টনক নড়েছে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের। ইতোমধ্যে হোল্ডিং ট্যাক্স ও জন্ম নিবন্ধন করতে আর অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউনিয়নের সুধীজনদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, শেখ দেলোয়ার হোসেন, শেখ মানিক, স্থানীয় সংবাদকর্মী শফিউল আলম, রাসেন্দ্র কুমার দাস মন্টু, ইউপি সদস্য আকলিমা বেগম, শিলা রানী বর্মণ, স্মৃতি রানী দে, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. নূরুল আমিন, নজরুল ইসলাম, রজত কান্তি দাশ, বিধান চন্দ্র দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় হোল্ডিং ট্যাক্স ও জন্ম নিবন্ধন করতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ সরকারের বিধি-বিধান মোতাবেক সকল কর্মকা- পরিচালিত হবে মর্মে সর্বস্তরের জনতা ও সুশিল সমাজ প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, অতিরিক্ত অর্থ আদায় বা যে কোন অভিযোগের নিষ্পত্তি তিনি নিজ দায়িত্বে যে কোন সময় সমাধান করে দিবেন।
উল্লেখ্য, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে হোল্ডিং ট্যাক্স ও জন্ম নিবন্ধন করতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার সকালে ফতেপুর ইউপি কার্যালয় ও বিকেলে সাতগাঁও নতুন বাজারে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফতেপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ নি¤œআয়ের ও নিতান্তই খেটে খাওয়া দিনমজুর। কিন্তু ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদসহ ইউপি সদস্যরা অতিরিক্ত হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করার জন্য প্রতিটি পরিবারকে নোটিশ দিয়েছেন এবং প্রত্যেক পরিবারকে দ্রুত সময়ে অতিরিক্ত ট্যাক্স দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। যা কারও কারও কাছ থেকে অন্যান্য বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি পর্যন্ত নেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রতিবন্ধী ও দিনমজুর পরিবাররাও বাদ যায়নি। অন্যদিকে জন্ম নিবন্ধন করতে সরকারিভাবে ৫০টাকা ফি নির্ধারণ করা থাকলেও ইউপি সচিব তরিকুল ইসলাম কর্তৃক বিনা রশিদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকার পাশাপাশি অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়। একারণে এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। তাই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত নেওয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় বন্ধ করা ও জন্ম নিবন্ধন করতে অতিরিক্ত যে টাকা নেওয়া হচ্ছে অচিরেই বন্ধ করা উচিত।